শিরোনাম
◈ অর্থ আত্মসাৎ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ ◈ সেভিয়াকে হারিয়ে দুই নম্বরে উঠে এলো রিয়াল মাদ্রিদ ◈ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেয়ার কতটা সুযোগ রয়েছে? ◈ অস্ট্রেলিয়ান ট্রাভিস হেড ভারতের মাথা ব্যথার কারণ  ◈ দিল্লিতে অবৈধ ১৭৫ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করলো পুলিশ, শহরজুড়ে তল্লাশি ◈ ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জয়কে অপ্রত্যাশিত বলছেন আলাউদ্দিন বাবু ◈ দীর্ঘ বছর ক্রিকেট খেলার পর আমাদের একটা স্টেজে আসা উচিত: কোচ সালাহউদ্দিন ◈ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা (ভিডিও) ◈ বিশেষ বিধান জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১৪ সকাল
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওয়াসার লাইন থেকে প্রভাবশালীদের পানির অবৈধ ব্যবসা, সরকার বছরে রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ১১ কোটি টাকা

হ্যাপি আক্তার : প্রকাশ্যে ওয়াসার লাইনে পাম্প লাগিয়ে রাজধানীর দিলকুশায় পানির অবৈধ ব্যবসা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। হোটেল, রেস্তোরা, অফিস- আদালত, নানা বাণিজ্যিক অফিস আর ফুটপাতের টংঘরে এ পানি নগদ দামে বিক্রি হয় বড় বড় ড্রামে ভরে। এটি এখন নুরুর পাম্প নামে পরিচিত। এই অবৈধ কারবারের মূল হোতা যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নুরু বলে জানিয়েছে ওয়াসা আর স্থানীয়রা। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।

ওয়াসার পানি চুরির হিড়িক। তাও একদিন নয়, দুইদিন নয়, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। সারি সারি ড্রাম ভর্তি পানি যাচ্ছে নুরুর পাম্প থেকে। তাও আবার দিনের বেলায়, খোদ দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকার মতো জনবহুল স্থানে। কিন্তু কারো টু শব্দ করার জো নেই। কারণ পানি যারা বিক্রি করছে তারা এলাকায় প্রভাবশালী।

এলাকাবাসী বলছেন, শুধু দিলকুশা নয়, ফকিরাপুল, দৈনিকবাংলা মোড়, স্টেডিয়ামপাড়া, মতিঝিলসহ আশপাশের বিস্তির্ণ এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্ট, অফিস ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হয় এই চোরাই পানি। এভাবে পাম্প বসিয়ে পানি টেনে নেয়ার কারণে ওয়াসারা স্থানীয় গ্রাহকরা নিয়মিত পানি পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ আছে।

স্থানীয়রা আরো বলেন, ওয়াসা থেকে যে পানি চুরি করছে এই নুরু দিলকুশা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি। স্থানীয় যুবলীগেরও নেতা তিনি।

অভিযোগ ওঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে ওয়াসার কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশ আছে এই অবৈধ কারবারে। এ কারণে বন্ধ হচ্ছে না পানি চুরি।

এব্যাপারে ওয়াসার জোন ১ এর সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হননি। পানি চুরির সাথে জড়িত নুরুল ইসলাম নুরুর কথা বলেননি। তবে ঢাকা ওয়াসার উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী পানি চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। এভাবে পানি চুরির কারণে ওয়াসা বছরে অন্তত ১১ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, বলছেন কর্মকর্তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়