নুর নাহার : বরগুনার সমুদ্রপাড়ের একটি চরের নাম আশারচর। প্রতি বছর এ সময় চরটিতে বরগুনা জেলাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ এ চরটিতে আসে কর্মসংস্থানের খোঁজে। উন্মুক্ত রোদের আলো পর্যাপ্ত জায়গা ও সমুদ্র থেকে মাছ সহজে উঠানো শুঁটকি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে সুবিধা হওয়ায় অনেকেই এই চরটিকে বেছে নিয়েছেন। সময় টিভি।
স্থানীয় জেলেরা জানিয়েছেন, লৈট্টা, ছুরি, চিংড়ি, ভোলা মাছ শুঁটকি বানানো ও বিক্রি করা হয় এখানে। সাগরে যে মাস আছে আমরা সেগুলো শুকিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেই। বাংলাদেশের মানুষও খায় বাহিরের মানুষও খায়।
কর্মসংস্থানের তাগিদে আসা এ মানুষগুলো কোনোমতে থাকার ব্যবস্থা করলেও সংকটে থাকেন খাবার পানির। কয়েকটি নলকূপ ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করতে পারলে চরটি হয়ে উঠবে আরো কর্মচঞ্চল।
স্থানীয় লোকেরা জানান, এখানকার পানি খাওয়াও যায় না গায়েও লাগানো যায় না। গায়ে ফোসকা পড়ে যায়। যদি এখানে নলকূপের ব্যবস্থা করা যায়,পানির অভাব দূর করা যায়। যদি স্যানিটারি ল্যাপট্টিন বসানো যায়। তাহলে অনেক মানুষ এখানে কাজ করে উপার্জন করতে পারবে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বলেন, তারা যে কাজ করে সেটি অসম্ভব কষ্টর কাজ। তাই তারা যাতে কষ্ট কম পায়, তাদের জন্য নূনতম সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করবো।
শীত মৌসুম হতে প্রায় পাঁচ মাস জেলেরা তালতলি ও পাথরঘাটার পাঁচটি চরের শুঁটকি তৈরি করেন প্রায় হাজারেরও বেশি মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :