আব্দুস সালাম : স্থপতি শামসুল ওয়ারেস ইন্ডিপেন্ডেট টিভির আজকের বাংলাদেশ অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে বলেন, একটা নতুন বিল্ডিং করতে হলে ফায়ার সার্ভিস এর কিছু নিয়ম আছে। সেসব নিয়ম না কার্যকর হওয়া পর্যন্ত বিল্ডিং করা য়ায় না। বিল্ডিং ঠিকই হচ্ছে, কিন্তু ফায়ার সার্ভিস এর কেউ তা পরির্দশনে যায় না। ফায়ার সেফটি বিল্ডিং তৈরি করতে হলে ফায়ার সার্ভিস এর সহযোগিতা লাগবে। এবং দুই-তিন বছর পর পর তাদেরকে পরিদর্শন করতে হবে। সেগুলো বিল্ডিংএর আগুন নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম ঠিক ঠাক আছে কি না। এবং জন সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন যেগুলো নতুন বিল্ডিং হচ্ছে সেগুলোতে আগুন নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র রাখা হচ্ছে, কিন্তু বিল্ডিং হয়ে যাওয়ার পর তার ব্যবহার আনেকেই জানছে না বা সেগুলো আর ব্যবহার করাই হচ্ছে না। পরে সে সব উপকরণগুলো ব্যবহার অনুপোযোগি হয়ে যাচ্ছে।
শামসুল ওয়ারেস বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তিন তলায় যে অগ্নিকান্ডটা ঘটে, সেখানে মাত্র একটা এক্সজিট পয়েন্ট ছিলো। এগুলো মডিফাই করতে হবে শুধুমাত্র একটি এক্সজিট পয়েন্ট রাখা যাবে না। বাংলাদেশে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে ফায়ার সার্ভিস ব্রিটিশ আমল থেকে কাজ করে আসছে। কিন্তু তারা এখনো দ্যুর্বল আছে।
তিনি আরো বলেন, বিল্ডিং কোডে বিল্ডিং রক্ষা করার জন্য অনেক নিয়ম-কানুন আছে। এগুলো ঠিকমত হচ্ছে না। বিল্ডিংয়ের যেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণ উপকরণগুলো থাকবে সেই জায়গাটা অ্যারো চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে, এবং সেই জয়গাটা পরিস্কার রাখতে হবে। যাতে করে সহজে পৌঁছা যায়। একটা বড় বিল্ডিংএ ২৫০০ গ্যালন পানি রাখতে হয়। বিল্ডিংয়ের আগুন লাগলে সর্বপ্রথম মানুষ গুলোকে সরানোর ব্যবস্থা করতে হয় কিন্তু আমরা তা না করে আগুন নেভাতে শুরু করি । বিল্ডিং থেকে মানুষ যেনো সহজে এবং দ্রুত বের হতে পারে সে জন্য কিছু এক্সজিট পয়েন্ট রাখতে হবে। এবং আগুন নিয়ন্ত্রণ উপকরণগুলো সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :