ইউসুফ বাচ্চু : বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, জামায়াতকর্মীদের ভুল ভাঙ্গা একটি শুভ লক্ষণ।
রোববার দুপুরে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করায় কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও আইনজীবী আবদুর রাজ্জাককে অভিনন্দন জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, দেরীতে হলেও নিজের ও দলের ভুল বুঝতে পারায় আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। কেবল একাত্তরের নৃশংসতা নয় ধর্মীয় বিষয়ে জামায়াতের যে অপপ্রচার আছে, নবী রাসূলদের নিয়ে অপব্যাখ্যা আছে সবকিছুর বিরুদ্ধে তাদের মুখ খুলতে হবে।
মাসঊদ বলেন, একাত্তরে জামায়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড বিষয়ে নিজেদের ভুল ভাঙ্গাকে একটি শুভ লক্ষণ। তারা পাকিস্তানী হায়েনাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জামায়াতকর্মীরা এ দেশের মানুষের উপর নৃশংসভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একাত্তরে।
সাহাবায়ে কেরাম ও নবী-রাসূলদের বিরুদ্ধে মওদুদী ও জামায়াতে ইসলামীর লেখকগণ সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে দাবি করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, সাহাবায়ে কেরাম সমালোচনার ঊর্ধ্বে। নবী-রাসূলদের সমালোচনা করার তো প্রশ্নই ওঠে না। আল্লাহর কাছে তারা নির্বাচিত। জামায়াতকে ধর্মীয় বিষয়েও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে সুপথে ফিরে আসতে হবে।
যুদ্ধকালীন জামায়াতের ভূমিকা সম্পর্কে দায়দায়িত্ব গ্রহণ করে ক্ষমা চাওয়ার যে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক তা অত্যন্ত সময়োচিত একটি প্রস্তাব উল্লেখ করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, জামায়াত সবসময় ভুলপথে ছিল। মুক্তিযুদ্ধে দেশের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান থাকলেও সে চিন্তাধারার আলোকেই তারা এ দেশে রাজনীতি করছে। জামায়াতের সব সদস্যদেরই আবদুর রাজ্জাকের মতো ভুল ভাঙ্গা উচিত।
জামায়াতের তরুণ কর্মীদের উদ্দেশ্য করে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, যার শরীরে এই বাংলাদেশের রক্ত। তারা কীভাবে দেশ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী একটি সংগঠনে থাকে? আপনারা ফিরে আসুন, সত্য ও সুন্দরের পথে। তরুণদের শক্তিকে বাংলাদেশ গড়ার পেছনে ব্যয় করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :