শাহানুজ্জামান টিটু : বিশ দলীয় জোটের শরীকদলের অধিকাংশই জোটের পুনর্গঠন ও সংস্কার চান। জোটের একাধিক নেতা জানান, ২০ দলীয় জোটে নাম সর্বস্ব ও প্যাড সর্বস্ব অংশের স্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া উচিত। তবে জোটের অন্য দলগুলো বিশেষ করে যাদের নিবন্ধন আছে, ব্যক্তি পরিচিতি আছে বিএনপির উচিত এদের সবাইকে নিয়ে বড় একটা রাজনৈতিক জোট করা। তখন ওই জোট রাজনীতিতে আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
২০ দলীয় জোটের শরীক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মেস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, বিএনপির ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। জামায়াত বিহীন ২০ দল হবে মূল্যহীন ও অকার্যকর জোট। আবার যেসব দলের অফিস ও কমিটি নেই, তাদের ছাঁটাই হওয়া দরকার বলে মনে করি। যেসব দলের অফিস, কমিটি, গঠনতন্ত্র ও কার্যক্রম, কর্মকান্ড কোনোটাই নেই, তাদের দিয়ে জোট করা হাস্যকর।
২০ দলীয় জোটের সংস্কার চাইলেন এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, শুরু থেকেই জোটকে একটা অকার্যকর করার এক ধরণের প্রচেষ্টা ছিলো । তারপর ২০ দল থেকে যারা চলে গেছে তাদের নামে ক্ষুদ্র অংশকে দিয়ে দল গঠন করে জোটের সম্মান মর্যাদা গুরুত্ব আরো হানি হয়েছে। এসব কারণেও ২০ দল কিছুটা গুরুত্ব হারিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি ২০ দলে সংস্কার হওয়া দরকার। প্যাড ও ব্যক্তি সর্বস্ব, অখ্যাত অজ্ঞাত এবং পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণির নেতারা শূন্যতার সুযোগ নিয়ে যেভাবে দলের মুল দায়িত্বে চলে আসে তাতে আমরা অত্যন্ত বিব্রত হই। কারণ নাম গোত্রহীন টোকাই শ্রেণির নেতারা দলের দায়িত্ব আসায় এতে যারা নিবন্ধিত দল ও ব্যক্তি পরিচিত আমরা খুব অস্বস্তিবোধ করি। সেই কারণে আমরা খুব একটা আগ্রহী হচ্ছি না যে ২০ দলীয় জোটকে কার্যকর করার জন্য। আমরা চিন্তা করছি এসব আগাছ-পরগাছা ঝরে পড়লে তারপর আমরা চিন্তা নেবো।
এলডিপির এই নেতা বলেন, আগাছা-পরগাছাদের নিয়ে কোনো রাজনৈতিক মূল্য আছে বলে মনে করি না। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাপ ২০ দল থেকে চলে গেছে। সেই দলের এক জন চেয়ারম্যান হয়েছেন একদম রাজনৈতিক উদ্বাস্তু, তাদের মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ন্যাপ একটা পার্টি তার আবার মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে কর্ণেল অলির পাশে বসতে চায় এতে আমরাতো শতভাগ বিব্রত হবো। জোটের মধ্যে আরো কয়েকটা দল আছে। তাদের প্রেসিডেন্ট বা সেক্রেটারি কে আমরা নিজেরাও জানি না।
আপনার মতামত লিখুন :