মঞ্জুর মোর্শেদ : কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় নড়াইলের কৃষকরা ঝুঁকছেন ধনিয়া চাষের দিকে। গত বছর জেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে ধনিয়া চাষ হয়েছিল। চলতি বছরে জেলায় ধনিয়া চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ হেক্টর । সেখানে চাষ হয়েছে ৬৮০ হেক্টর জমিতে। সূত্র : জাগো নিউজ
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জেলায় ধনিয়ার চাষ বেড়েছে সাড়ে ৩ গুণ। জেলার মধ্যে লোহাগড়া উপজেলায় ধনিয়ার চাষ বেশি হয়েছে । চলতি মৌসুমে শুধু লোহাগড়া উপজেলায় চাষ হয়েছে প্রায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে। কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার মাটি বেলে দোআঁশ ও দোআঁশ হওয়ায় মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন ভালো হয়। উপজেলায় ধনিয়া, বাদাম, পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগী। গত বছর এলাকার ধনিয়ার চাষ তেমন না হলেও এ বছর ব্যাপক চাষ হয়েছে।
কৃষকরা জানান, উঁচু ও ভিটা জমিতে এর চাষ হয়েছে বেশি। শীতের প্রকোপ, ঘন কুয়াশা কম থাকায় এবার ধনিয়ার ফলন ভালো হবে জানান চাষিরা। বাজারে ভালো দাম পেলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন তারা। আশ্বিন-কার্তিক মাসে বপন পদ্ধতিতে ধনিয়ার চাষ শুরু হয়। ফলন পাওয়া যায় ফালগুন-চৈত্রে। অনুকূল আবহাওয়ায় থাকলে প্রচুর পরিমাণ ধনিয়া ফলন হবে। এ বছর রোগবালাই ও কম আছে। বাজারে চাহিদা থাকায় ছোট অবস্থায় পাতা বিক্রি করেও আয় করেন কৃষকরা।
কৃষক তজিবর শেখ বলেন, ‘জমি তৈরির পর শুধু ধনিয়া বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হয়। এছাড়াও এ ফসল ফলাতে সার-কীটনাশক ও শ্রমিক ব্যয় কম। তাই নামমাত্র খরচে ধনিয়া আবাদ হয়। বিঘা প্রতি উৎপাদন হয় ৩ থেকে ৪ মণ।’
কৃষক আক্তার তালুকদার বলেন, ‘এ বছর ধনিয়া আবাদে ভালো ফলন আশা করছি। উৎপাদিত ধনিয়া বাজারে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়। শেষ পর্যন্ত ফলন ভালো হলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে।’
জেলা কৃষি স¤প্রসারণের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, ‘ধনিয়া চাষে এলাকার চাষিরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। বাজারে ধনিয়া পাতার বেশ চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা ধনিয়া চাষের দিকে ঝুঁকছে।’