আব্দুস সালাম : আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান বলেছেন, আগামীতে যারা রাজনীতি করতে আসবে তারা যদি নাগরিকের কথা না ভাবে তাহলে তারা রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবে না। কিছু রাজনীতিক দলের গত ১০ বছরে তাদের দাবী ছিলো, কিন্তু তারা করতে পারেনি। তার একটাই কারণ তারা নাগরীকের কোন অধিকারের জন্য আন্দোলন করবে সেই জায়গাটায় তারা সুনির্দিষ্ট ছিলেন না। তার কারণে এবার নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখতে পায়নি বিএনপি। সময় টিভি
তিনি আরো বলেন, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বুঝতে পেড়েছে জামায়াত একটি যুদ্ধাপরাধীর দল, তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জনাব শোকরানা তিনিও আজ পদত্যাগ করেন। তিনি তার সকল সম্পত্তি বিক্রয় করে কানাডায় চলে যাচ্ছেন। তিনি পরিস্কারভাবে বলেন, বিএপির মধ্যে যে অনিয়ম ও নেতৃত্ব শূন্যতা, তার পক্ষে এই রাজনীতি করা সম্ভব না। বিএনপির মাঝে যে সব নেতাকর্মী আছে তারা আজ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের যে ‘হা-না’ ভোট হয়েছিলো সেটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে হাস্যকর ভোট।
রাশেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের প্রতি বিশ্বাস পেয়েছেন। তাই আমরা টানা তৃতীয়বারের মত বিপুল ভোটে জয় পেয়েছি। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা বর্তমান উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে আগামী পাঁচ বছর আমরা তা বজায় রাখবো। গত ১০ বছর ধরে দেশে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ নেই, দেশের মানুষ নিরাপত্তার ছায়ায় বাসবাস করছে। আগামী পাঁচ বছর দেশে সেই শান্তি বজায় থাকবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জার্মানিতে আছেন, সেটাও শান্তিকে কেন্দ্র করে। নিরাপত্তার সম্মেলনে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। ৪৭ বছরের বাংলাদেশের রাজনীতিক ইতিহাসে নেই, আমরা যদি বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখা যাবে গণতন্ত্রের সাথে যে মুনাফার ব্যাপারটা তা আমরা পাইনি। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের পরিবর্তন নিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের একটি অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল। তারা বুঝতে পারার কথা এদেশের মাটিতে রাজাকারের স্থান হবে না। তাদের নিজের আবস্থায় থেকে কেনো তাদের জায়গা পরিষ্কার করলেন না?