হ্যাপি আক্তার : নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান না থাকার যে দাবি তুলছে ছাত্রসংগঠনগুলো তা অযৌক্তিক বলে মনে করেন সাবেক ছাত্রনেতারা। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের হাতে এবার ডাকসুর কর্মকান্ডে যোগ হবে নতুন মাত্রা। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল তৈরির ক্ষেত্রে এসব বিষয় বিবেচনার কথা বলছেন ডাকসু ও ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতারা। ডিবিসি নিউজ।
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসুর ভূমিকা ছিলো অগ্রভাগে। তাই বলা চলে ছাত্র সংগঠন বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ডাকসু নির্বাচন ভবিষ্যত নেতা তৈরির গুরুত্বপুর্ণ সোপানও বটে। তবে প্রশ্ন ডাকসুর হারানো ঐতিহ্য কি ফিরে আসবে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের হাত ধরে ?
ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামান বলেন, দেশে যখন সামরিক শাসন থাকে, তার থেকে গণতন্ত্র অর্জনের জন্য ডাকসু এবং ছাত্র সংগঠনগুলো ঐক্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। কিন্তু যখন দেশে সংসদ থাকে, তখন ডাকসুর ভ‚মিকাটা কি থাকবে তা ভবিষ্যত নির্ধারণ করে দিবে। কিছু প্রেক্ষাপটও নতুন সংযোজিত হবে। অতীত ও বর্তমানের পার্থক্য হয়েছে অনেক। এই পার্থক্য ডাকসুকে বুঝতে হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান না থাকার যে দাবি তুলছে বিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলো তা অযৌক্তিক বলে মনে করেন সাবেক ছাত্রনেতারা।
নির্বাচন বানচালের জন্যই এসব কথা বলছে ষড়যন্ত্রকারীরা এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, এই ধরণের অযৌক্তিক কথাবার্তা নির্বাচনকে ভন্ডুল করার চক্রান্ত। ডাকসু নির্বাচন যাতে না হতে পারে সেই ধরনের একটি পরিস্থিতি তৈরি করতেই এসব কথা বলছে তারা, এটি খুবই দুঃখজনক।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সহাবস্থানের কোনো ঘাটতি নেই। যার যার সংগঠনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড করার জন্য অনেক ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি তো আর আরেক সংগঠন পূরণ করতে পারবে না। চরম প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও আমরা ছাত্রদের মাছেই ছিলাম।
শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার সুযোগ ছাড়াও ডাকসু মহবে ভবিষ্যত নেতা তৈরির সূতিকাগার। সমমনা সংগঠনগুলোর সাথে জোট করে ছাত্রলীগ এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এমন পরিকল্পনার কথাও জানান তারা। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ
আপনার মতামত লিখুন :