সাত্তার আজাদ, সিলেট: সিলেটে আমড়ার মুকুল এখন অর্থকরি কৃষিপণ্য। স্থানীয় চাহিদার সাথে বিক্রি বেড়েছে বিদেশেও। সিলেটী বসবাসকারী দেশগুলোতে আমড়ার মুকুল বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা বাড়ায় আমড়ার মুকুলের রফতানির পরিমাণও বেড়ছে বলে জানালেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সিলেটের বাজারে আমড়ার মুকুল প্রতিকেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন মুকুল আসার সময় হওয়াতে তা প্যাকেটজাত করে রফতানি হচ্ছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সিলেটের মানুষের কাছে আমড়ার মুকুলের তরকারি খুবই পছন্দের ও ঐতিহ্যবাহী খাবার। মুকুল ধরার পর তা পেড়ে মাছ দিয়ে রান্না করে খেতে হয়। রান্নার পর ঘ্রাণ ও স্বাদের সমন্বয়ে এ অসাধারণ খাবার হয়ে উঠে আমরার মুকুলের তরকারি।
আমড়া মুকুল টুকরো করে যেকোনো ছোট মাছ কিংবা মাছের মাথা দিয়ে রান্না করা যায়। মাছে হলুদ মেখে ১০ মিনিট রেখে, হাড়িতে তেল দিয়ে রসুন কুচি হাল্কা করে ভেজে একে একে লবণ, হলুদ গুঁড়া, রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচিসহ মসলা কষলে তাতে আমড়ার মুকুল দিয়ে ডেকে ৫ মিনিট পর মাছ ও কাঁচা মরিচসহ পরিমাণমতো পানি দিয়ে রান্না করা যায়। খাবার সময় এটিতে এক অসাধারণ স্বাদ পাওয়া যায়।
আমড়ার মুকলে ভিটামিন সি থাকে। ত্বকের রোগ প্রতিরোধ করে, ত্বক ও চুলকে সুন্দর করে তোলে, দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। পাকস্থলী সুস্থ্য রাখে অরুচি দুর করে, রক্তের ক্ষতিকর উপাদান কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমায়। আমড়ার চেয়ে মুকুলে বেশি পরিমাণ আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সিলেটে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দু’চারটি আমড়া গাছ রয়েছে। অনেকেই শখ করে বাড়ির আঙিনায় আমড়া গাছ লাগাচ্ছেন। অর্থকরি ফসল হওয়াতে কদর বেড়েছে আমড়া গাছের। সিলেটে আমড়ার চেয়ে মুকুলের কদর খুব বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :