মাহমুদুল হাসান মাছুম
মাঝে মাঝে কিছু অপ্রত্যাশিত ভালোবাসা খসে পড়া বিনীত পালকের মতো কপাল ছুঁয়ে যায়। ঋণী হয়ে থাকি পরাভূত বিভাজনে শতাব্দী পর শতাব্দী। এজন্মে এইসব ঋণ শোধ করবার নয়। কী জানি কী এমন করেছি জীবনে, এতো ভালোবাসা কেনো হঠাৎ শোরগোল করে!
বিকালে বইমেলায় স্টলে দাঁড়িয়ে এদিক-ওদিকে দেখছিলাম। অদূরে দেখলাম মিমি হাসিমুখে হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে আসছে আমার দিকে, মিমির ঝকঝকে মুক্তোর মতো দেঁতো হাসির কাছে তখন পরাভূত বিকাল। কাছে এসেই মিমি দ্রুত আমার পা ছুঁয়ে সালাম করে ওঠে কাঁধে মাথা ঠেকিয়ে দিলো। আশপাশের শত শত অভিসন্ধি চোখগুলো জেঁকে ধরেছে আমাদের।
এই স্বর্গীয় ভালোবাসা কী আমার প্রাপ্য? কে সে আমার? আমিই বা কে তার? মিমি তুই এমন কেন রে? তুই চলে যাবার পর ঠিকঠাক তাকাতে পারছিলাম না। নীরবে মাটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম, কিছুটা শক্ত মনের মানুষ হওয়ায় সত্ত্বেও চোখের জল মা মাটি ছুঁয়েই দিলো। মিমি, কিছু বলার নেই তোকে, বুকের ভেতরেই জমা থাক আশীর্বাদ। এবারের বইমেলায় এটাই শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি আমার। ফেসবুক থেকে