রাশিদ রিয়াজ : ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বলছে বিয়ের ক্ষেত্রে সৌদি নারীদের অভিভাবকের অনুমতি সহ অন্যান্য বিষয়ে বাধ্যতামূলক থাকার বিষয়টি তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রেখেছে। তাই এটির বিলুপ্তি হওয়া উচিত। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা বলেন যখন সৌদি নারীরা দেশের বাইরে যায় তখন দেশটির সরকারের যে চিহ্নিত করে রাখার ওয়েব পদ্ধতি রয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। তারা একই সঙ্গে নারীদের ওপর আরোপিত সবধরনের বিধি নিষেধ প্রত্যাহারের আহবান জানান। রয়টার্স
যদিও বছর খানেক ধরে কাগজে কলমে সৌদি নারীদের ওপর থেকে অভিভাবকত্ব আইনের বিলুপ্তি করা হয়েছে কিন্তু এখনো বিদেশ ভ্রমণ বা অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে ঘনিষ্ট স্বজনদের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। এধরনের অনুমোদন ছাড়া সৌদি নারীরা পাসপোর্ট পাচ্ছে না।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এ ধরনের প্রস্তাবে দুই তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য সম্মতি দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। তারা আরো বলেন, ইউরোপের দেশগুলোর উচিত সৌদি সরকারের ওপর অব্যাহতভাবে চাপ দেয়া যাতে দেশটিতে নারীদের অধিকার ছাড়াও মানবাধিকার নিশ্চিত হয়। এধরনের প্রস্তাবটি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এমন এক সময়ে পাশ হয় যার একদিন আগে সৌদি আরবকে ইইউ’এর নির্বাহী কমিশন সন্ত্রাসে অর্থায়নের জন্যে কালোতালিকাভুক্ত করে। মিডিল ইস্ট মনিটর