সুজন কৈরী : দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা বা প্রতিনিধির কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে মো. রাজু মিয়া (২৮) নামের একজনকে আটক করেছে র্যাব-২।
বৃহস্পতিবার নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ড এলাকা থেকে আটক করা হয় বলে শুক্রবার জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার বিষয়টি অবগত করে গত ১২ ফেব্রæয়ারী দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে র্যাবের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। এতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায় ও হয়রানির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। এরপর র্যাব সদর দপ্তর বিষয়টি অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য র্যাব-২ কে নির্দেশ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-২ বিষয়টির অনুসন্ধান শুরু করে। একপর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যে অভিযান চালিয়ে রাজুকে আটক করে। তার কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোনসেট ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ভ‚য়া রেজিষ্ট্রেশনকৃত ১২টি সিম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মোহাম্মদ সাইফুল মালিক জানান, রাজু জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে দুদকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা বা প্রতিনিধির কাছে ফোন দিয়ে দুর্নীতির মামলা হবে বা মামলার তদন্ত চলছে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায় ও হয়রানি করে আসছিলেন। সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাঙ্খিত টাকা দিলে দুর্নীতির মামলার ফাইল খারিজ বা নথিভুক্ত করে দেয়ার আশ^াস দিতেন রাজু। প্রতারণার জন্য রাজু ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহার করে ছদ্মবেশ ধারণ করে মোবাইলে যোগাযোগ করতেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার নিজস্ব মোবাইল সিম বিক্রয়, বিকাশ হিসাব খোলা ও বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নিন্মবিত্ত লোকজন, দিন মজুর, গার্মেন্টস্ কর্মী বা গৃহ পরিচারিকার মত লোকজন সিম গ্রহণের জন্য আসলে তাদের অগোচরে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি ব্যবহার মাধ্যমে একের অধিক সিম বিক্রির রেজিষ্ট্রেশন করে এবং ওই সিম দিয়ে বিকাশ হিসাব খুলে থাকেন। মোবাইল ফোনে পাল্টা হুমকী পেলে ওই সকল সিম তিনি নষ্ট করে ফেলতেন।
আপনার মতামত লিখুন :