নুর নাহার : পানিশূন্য কুড়িগ্রামের ছোট বড় ১৬ টি নদ-নদী। শুষ্ক মৌসুমে এ নদীগুলো পরিণত হয়েছে বালুচরে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নদী তীরবর্তী পরিবেশের ওপর। কাজের অভাবে চরম বিপাকে সাধারণ মানুষ। উজানে ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের কারণে মরতে বসেছে নদ-নদীগুলো। যমুনা টিভি ।
বৃটিশ আমলে কুড়িগ্রামে ছোট বড় মিলিয়ে ৪৭ টি নদ-নদী ছিলো, কালের বিবর্তনে এখন সে সংখ্যা ১৬টিতে দাঁড়িয়েছে।
পানির অভাবে ধরলা নদী পরিণত হয়েছে ধুধু প্রান্তরে । শুধু ধরলা নয় শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্য দুধকুমার, জিঞ্জিরাম, ফুলকুমার, তিস্তাসহ কুড়িগ্রামের ছোট বড় ১৬ টি নদ-নদী। জেগে উঠেছে বালুচর।
নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বলছেন, আষার, শ্রাবণ, ভাদ্র, এবং আশ্বিন এই ৪ মাস কানায় কানায় পূর্ণ থাকে নদ-নদী। তখন ভাসিয়ে নিয়ে যায় বিস্তীর্ণ প্রান্তর। তবে বাকি সময়টা পানি থাকে না।
নদ-নদীতে পানি না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ। মাছ না পেয়ে কষ্টে হাজারও জেলে। বিপন্ন হওয়ার পথে নদীর বুকে বাস করা নানা জীব ও বৈচিত্র্য। খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির পাখি। স্থবিরতা নেমে এসেছে চিলমারী নৌবন্দরেও।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড.তুহিন ওয়াদুদ বলেছেন, আমাদের এই নদীর গভীরতা ঠিক রাখতে না পারার কারণে নদীগুলোর প্রস্ত বাড়ছে যার কারনে ভূমির যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি নদীতে পানিও থাকছে না।
তবে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। তিনি বলেন,পানি প্রবাহ ঠিক রাখার ব্যবস্থা করবো আমরা। ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির বিষয়ে সরকার যেন তার পদক্ষেপ নেন সে বিষয়েও আমরা কথা বলবো। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :