দুর্জয় চক্রবর্তী: বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির একটি বিরল ইতিবাচক প্রভাবে বৃহৎ বালু রপ্তানিকারকে পরিণত হতে পারে গ্রিনল্যান্ড। সোমবার বিজ্ঞানীরা বলে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দ্বীপটির বরফের একটি বড় অংশ গলে পলি আকারে সমুদ্রে পতিত হচ্ছে। রয়টার্স
নির্মানশিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত বালু ও নুড়ির খননের ফলে ৫৬ হাজার বসবাসকারী সমৃদ্ধ গ্রীনল্যান্ডের অর্থনীতি অনেক এগিয়ে যেতে পারে বলে ‘নেচার সাসটেইনিবিলিটি’ নামে একটি সাময়িকীতে লিখেছেন ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের একটি যৌথদল। ডেনমার্কের অন্তর্ভুক্ত গ্রিনল্যান্ড ব্যাপকভাবে স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করলেও অর্থনৈতিকভাবে কোপেনহ্যাগেনের উপর তাদের নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলতে থাকলে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা প্রায় ৭ মিটার বৃদ্ধি পেতে পারে। যার ফলে সমুদ্রের খাড়িগুলোতে আরো বেশি বালু ও নুড়ি জমা হবে। যা গ্রিনল্যান্ডের অর্থনঅতির জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে শুধু নিজেদের অর্থনীতির ক্ষেত্রেই সঞায়ক হবে না, এর ফলে বিশ্বের বৃহৎ বালু রপ্তানিকারকে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে গ্রিনল্যান্ডের।
গবেষণাটিতে আরো বলা হয়, ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী ৯৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের প্রায় ৯. ৫৫ বিলিয়ন টন বালুর চাহিদা ছিল যা ২১০০ সাল নাগাদ প্রায় ৪৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :