মঈন মোশাররফ : পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারের অঙ্গীকার ছিলো ২০২০ সালের মধ্যে পোড়া ইট শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনা, কিন্তু সেটি সরকার করতে পারেনি। ইটভাটায় কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি ব্যবহার করা হয়। ফলে ইটভাটার কারণে কৃষিজমি উর্বরতা হারাচ্ছে।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে তিনি আরো বলেন, ইটভাটার ছাই ভস্ম ও ধোঁয়া আশেপাশের ফসল উৎপাদনের ক্ষতি করছে। মানুষ হাঁপানি, চুলকানি কিংবা চোখ জ্বালাপোড়াসহ নানা সমস্যায় পড়ছে ।
তিনি বলেন, প্রচলিত ভাটায় ইট তৈরির পরিবর্তে নির্মাণকাজে ব্লক ব্যবহারের উৎসাহিত করতেই বিল আনা হয়েছে । তবে এক্ষেত্রে কাঁচামাল কি হয়। সেটি গুরুত্বপূর্ণ। সিমেন্ট ব্যবহার হলে তাতে খুব একটা লাভ হবেনা।
তিনি জানান, তবে আমদানিকরা সিমেন্ট ব্যবহার করা যায়। কারণ সেক্ষেত্রে সিমেন্ট অন্য দেশে উৎপাদন হবে। এছাড়া পাথর, নদীতে ড্রেজিং করে তোলা বালু বা মাটি, ককশিট কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। উন্নত দেশে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই নির্মাণকাজে এমন পোড়া ইট ব্যবহার করা হয়না।
আপনার মতামত লিখুন :