কেএম নাহিদ: রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িত উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যবস্থা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্লেষকরা এই বিষয়ে একমত হলেও মামলা করে এই টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলছে গবেষণা সংস্থা পিআরআই। অবশ্য তিন বছরের আগেই মামলার মাধ্যমে চুরির অর্থ ফেরতের বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. ফরাসউদ্দিন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররাই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মূলহোতা। এমন অভিযোগ রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ফরাসউদ্দিন বলেন, আমাদের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে এই কাজ করেছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে মনে হয় নাই। ডিবিসি টেলিভিশন
স¤প্রতি রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে নিউইয়র্কের আদালতে বাংলাদেশ মামলা করলেও উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি । এই কারণে বাংলাদেশের অর্থ ফেরতের সম্ভাবনা কম-স¤প্রতি এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। কিন্তু গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক বলছেন- হ্যাকিং নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনা করেও কোনো সুফল পাবে না বাংলাদেশ।
পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, উত্তর কোরিয়া হচ্ছে বিচ্ছিন্ন একটি রাষ্ট্র। তারা কোনদিনও স্বীকার করবে না তাদের হ্যাকাররা এই কাজ করেছে। তাই এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করে কোন লাভ নেই, কারণ উত্তরটা আমরা জানি। উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও সুযোগ নেই বাংলাদেশের। পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন, আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করাটাই আমার মনে হয় যুক্তিযুক্ত হয়েছে। তবে এই মামলা দিয়ে রিজার্ভের অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে না। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার যে মামলা করেছে আমি এটাকে বলবো আইনগত বিধি নিষেধকে সামনে রেখে তারা শুধু ভবিষ্যতে কোন কারণে কোন কিছু উদঘাটিত হলে তখন এই মামলার সুযোগ নিয়ে এটিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই মামলা করে টাকা উদ্ধার করা সম্ভব বলে আমার মনে হয় না।
আপনার মতামত লিখুন :