শিরোনাম
◈ ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ ◈ ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে, স্বস্তি খাদ্যেও ◈ কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরে, বেশি চাইলে জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রাক্তন দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বিক্ষোভের শহরে পরিণত হচ্ছে রাজধানী ঢাকা: নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন ◈ সামনের পথ স্পষ্ট - একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে দ্রুত প্রত্যাবর্তন : মির্জা ফখরুল ◈ ইউক্রেনকে সাহায্য করতে নারাজ ইউরোপের ২ দেশ ◈ জাতীয় নাগরিক দল বাংলাদেশে নির্বাচনী দৃশ্যপট পরিবর্তন করতে পারে ◈ ইউপি চেয়ারম্যান লাক মিয়ার ৪৯ ব্যাংক হিসাব, লেনদেন ১৪,৩৭৬ কোটি টাকা ◈ সাতকানিয়ায় নিহত ২: কোতোয়ালি থানার লুট হওয়া পিস্তল দিয়ে ছোড়া হয় গুলি ◈ পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৩৭ কর্মকর্তাকে র‍্যাংকব্যাজ পরালেন ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০২:৪৬ রাত
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০২:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাষা শহীদদের জন্য মাগফিরাত কামনা

আবুল কাশেম ইয়াছিন : ফেব্রুয়ারি এলে ভাষার প্রতি টান বেড়ে যায়। মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা অকুণ্ঠ ভালোবাসা ক্রমশই আচ্ছন্ন করে তনুমন। শহরের অলি-গলিতে বাংলা বর্ণমালা দেখে ফের জীবন্ত হয়ে উঠে বায়ান্নর স্মৃতি। তখন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শতকরা আটান্নজন লোকের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। কিন্তু তারপরও শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে চাপিয়ে দিয়েছিল নিরীহ জনগণের উপর। তারা কেড়ে নিতে চেয়েছিল আমাদের মায়ের ভাষা। কিন্তু বীরের জাতি বাঙালিরা তা হতে দেয়নি। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। প্রতিহত করে তাদের অসৎ মনোবাঞ্ছা। বুকভরা সাহস নিয়ে পা রাখে রাজপথে। মুষ্টিবদ্ধ হাতে তুলে ধরে বাংলা বর্ণমালা। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তাদের ঔদ্ধত তর্জনী। ঝাঁঝালো শ্লোগানে মুখরিত হয় ঢাকার রাজপথ। অধিকার আদায়ের গলা ফাটা চিৎকারে কেঁপে উঠে আকাশ-বাতাস। পদভারের ঝাঁকুনিতে থরথর করে কাঁপতে থাকে মাটি। ‘মাতৃভাষা বাংলা চাই, উর্দু ভাষার দখল নাই’- এই শ্লোগান নিয়ে এগুতে থাকে দামাল ছেলেরা।

পাকিস্তানিরা সেদিন গুলি চালিয়ে ছিল বাংলার দামাল ছেলেদের বুকে। রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো ঢাকার রাজপথ। লুটিয়ে পড়েছিল বরকত, সালাম, রফিক, জব্বারের মত অসংখ্য মুসলিম যুবকের দেহ। বুকের রক্ত দিয়ে সেদিন তারা ছিনিয়ে এনেছিলো মাতৃভাষার বিজয়ের জয়মাল্য। বেদনাবিধুর সেই দিনটি ছিল ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ। বাংলা বর্ষের ৮ফাল্গুন। আজও স্মৃতিপটে ভেসে বেড়ায় গর্বে ভরা সেই অতীত। বেদনাদীর্ণ সকালের রক্তমাখা চিত্র।

ভাষার প্রতি ছিলো যাদের অকুণ্ঠ মমতা। বুকভরা দরদ আর ভালোবাসা। তাদের এই ত্যাগের ফলে ফিরে আসে বাংলা ভাষার স্বকীয়তা। রক্ষা পায় পৃথিবীর আনাছে-কানাছে ছড়িয়ে থাকা ত্রিশকোটি মানুষের মুখের ভাষা। তারপর ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো কর্তৃক বাংলাদেশের একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। এভাবেই ক্রমে ক্রমে বাংলা ভাষা পৃথিবীতে বুকটান করে দাঁড়ায়। যদিও বর্তমান সময়ে আমাদের অনেকেই বাংলা ভাষাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে না। কথায়, লেখায়, বিজ্ঞাপনে বাংলা ভাষাকে অবহেলা করে। আবার শহীদ মিনারে গিয়ে ভাষা শহীদদের জন্য মিথ্যা ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়।

আমরা তাদের মতো ‘আধুনিক/স্মার্ট’ হতে চাইনা। আমরা আমাদের ভাষা শহীদ ভাইদের জন্য দোয়া করবো। মাগফিরাত কামনা করবো। আল্লাহ পাকের দরবারে ফরিয়াদ জানাবো, তিনি যেন সকল ভাষা শহীদকে ক্ষমা করে দেন। শহীদদের আত্মায় শান্তি বর্ষণ করেন। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়