শিমুল মাহমুদ : দেশের রাজনীতিক সংকট দূর করতে আবারো সংলাপের প্রয়োজন বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গণ ফোরামের আয়োজনে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পুত্র প্রয়াত রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুতে আয়োজিত শোক সভায় তিনি এ সংলাপের আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি মনে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের নামে চালাকি না করে আবারো সংলাপে বসার দরকার।
বিচার বিভাগের উপর আস্থাহীনতার কথা উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে নির্বাচন নিয়ে কেউ মামলা করতে চাচ্ছে না। অনেকে বলছে মামলা করে কী হবে? আমি মনে করি প্রথমেই আমাদের বিচারিক বিভাগে আস্থা ফিরিয়ে আনা উচিৎ।
তিনি বলেন, পরিছন্ন ভদ্র রাজনীতিবিদদের অবশান ঘটেছে। আপনাদের মনে থাকতে পারে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কুষ্টিয়ার শাহ আজীজ নামের একজনের খোঁজ রাখতেন বঙ্গবন্ধু । তখনকার রাজনীতিবিদরা ছিলেন ভদ্র কারণ তখন রাজনীতিটা ব্যবসা ছিলো না, তখন রাজনীতিটা ছিলো সেবা, কল্যানকর। আজকে অভ্র ভাষায় গালি দেওয়া, অন্যায় করা, অত্যন্ত গুনি মানুষদের অপমান করা। এরকম প্রচলন ছিলো পাকিস্থান আমলে তবে কম। যে রাজনীতি ছিলো মানুষের কল্যাণের জন্য তার অবসান ঘটেছিলো ২৯ ডিসেম্বর।
তিনি আরো বলেন, জনগণকে সাথে না নিলে দেশে সুষ্ঠ রাজনীতি থাকতে পারে না। ইতিমধ্যেই অশনি সংকেত দেখা যাচ্ছে, আমি বছরের শুরুতে বলেছিলাম রহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে, আপনি বাহবা পেতে পারেন, মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি পেতে পারেন কিন্তু এর সুষ্ঠ সমাধান করতে হবে।
কিছুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের যাওয়ার কোন ইচ্ছা নেই। তাদের মধ্যে ৫ লাখ তরুণ- তরুণী তাদের কোনো ইচ্ছা আকাঙ্খা নেই, লেখাপড়া নেই, সুতরাং এটাই জঙ্গিবাদ উত্থানের একটা জায়গা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে পূর্বে যান, ভারত যদি না চায় তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। আজকে ভারতপ্রীতি করে লাভ নাই, ভারত আমাদের কাছে শুধু নেবে। আপনিইতো বলেছেন ভারতকে আর কত দিব, কিন্তু আপনিতো দিয়ই যাচ্ছেন এখন পাঠাচ্ছেন ১৮০০ সৈন্য।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর সম্পর্কে জানতে হবে, তা না হলে তারা ভাববে দেশে শুধু একজনের ইতিহাস রয়েছে। অনেক জায়গায় বঙ্গবন্ধুর নামকে ছোট করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :