শিরোনাম
◈ ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অতিরঞ্জিত: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ◈ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করছে, নাম হতে পারে ‘জনশক্তি’ (ভিডিও) ◈ মেয়ে দেশে ফিরলে হাসান আরিফের দাফনের সিদ্ধান্ত ◈ হাসান আরিফের নামাজে জানাজায় শরিক হলেন  প্রধান উপদেষ্টা ◈ গাড়িচাপায় বুয়েটশিক্ষার্থীর মৃত্যু: চালকসহ দুজনের শরীরে মিলেছে অ্যালকোহল ◈ চলন্ত বাসে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে আহত ৫ ◈ বাবা তুমি শান্তিতে ঘুমাও, আবার আমাদের দেখা হবে: নিহত বুয়েট শিক্ষার্থীর মা ◈ ‘বাজারে সিন্ডিকেট এখনো আছে, হাত বদলের মাধ্যমে দাম বাড়ছে’ ◈ মিয়ানমারে জান্তার গুপ্তচর কাজ করছে বিদ্রোহীদের পক্ষে! ◈ সমুদ্রে ভাসছিল ১০২ রোহিঙ্গা, উদ্ধার করল শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:৩১ দুপুর
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভূপেন হাজারিকার পরিবারের ‘ভারতরত্ন’ প্রত্যাখ্যান

মুসফিরাহ হাবীব: ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘ভারতরত্ন’ প্রত্যাখ্যান করেছে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী প্রয়াত ভূপেন হাজারিকার পরিবার।

২০১৬ সালের নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে এ মরণোত্তর পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণা দেন হাজারিকার ছেলে। সোমবার ছেলে তেজ ভূপেন হাজারিকা জানিয়ে দেন, তার পরিবার এই ভারতরত্ন গ্রহণ করবে না। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তেজ হাজারিকা সেখান থেকেই বিবৃতি দিয়েছেন।

ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার এবার অসমিয়া সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকাকে বেছে নিয়েছিল মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার জন্য। প্রজাতন্ত্র দিবসে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু তা তার পরিবার প্রত্যাখ্যান করল। হাজারিকার ছেলের অভিযোগ, বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলে রাজনৈতিকভাবে তার বাবার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

তেজ হাজারিকা বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে আমার বাবার নাম এবং তার কথাগুলো সরকার নানা কাজে ব্যবহার করছে, মানুষকে হতাশ করে নাগরিকত্ব সম্পর্কিত ব্যথাজনক একটি বিল পাস করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। আমার বাবার সম্পর্কে অসংখ্য মানুষের মনে যা ধারণা, যা বিশ্বাস এতে তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

“আমি অসমের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সুধাকণ্ঠ ভূপেন হাজারিকা সবসময়ই অসমের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং আন্দোলন করেছেন। আমরা তাই এ সম্মান গ্রহণ করতে অস্বীকার করছি। পুত্র হিসেবে আমি জানাচ্ছি, ভারত সরকার তাকে যে মরণোত্তর সম্মান দিতে চাইছে আমরা তা গ্রহণ করব না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে অসমের মানুষ প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।”

ভূপেন হাজারিকার জন্ম আসামের সাদিয়ায় ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। ৮৫ বছর বয়সে ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই হাসপাতালে তিনি মারা যান। ভূপেন হাজারিকা আসামের মানুষ হলেও তিনি ছিলেন বাঙালিদের ভালোবাসার শিল্পী। তিনি প্রচুর বাংলা গান গেয়েছেন। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছিলেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়