শিরোনাম
◈ ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে আইনি নোটিশ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি, আহত-২০ ◈ স্পেন-পর্তুগাল-ফ্রান্সে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, স্থবির জনজীবন ◈ গ্যাস সংকটে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত, দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ উদ্যোক্তারা ◈ তাইজুলের স্পিনে বাংলা‌দেশ ম্যাচে ফির‌লো, দিন শে‌ষে জিম্বাবু‌য়ে ২২৭/৯  ◈ পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি ◈ বাংলাদেশের জন্য কী রাখাইনের জন্য করিডর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে? ◈ বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলেও যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন ◈ দেশে লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ◈ নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করলো ডিএসসিসি

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:৩১ দুপুর
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভূপেন হাজারিকার পরিবারের ‘ভারতরত্ন’ প্রত্যাখ্যান

মুসফিরাহ হাবীব: ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘ভারতরত্ন’ প্রত্যাখ্যান করেছে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী প্রয়াত ভূপেন হাজারিকার পরিবার।

২০১৬ সালের নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে এ মরণোত্তর পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণা দেন হাজারিকার ছেলে। সোমবার ছেলে তেজ ভূপেন হাজারিকা জানিয়ে দেন, তার পরিবার এই ভারতরত্ন গ্রহণ করবে না। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তেজ হাজারিকা সেখান থেকেই বিবৃতি দিয়েছেন।

ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার এবার অসমিয়া সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকাকে বেছে নিয়েছিল মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার জন্য। প্রজাতন্ত্র দিবসে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু তা তার পরিবার প্রত্যাখ্যান করল। হাজারিকার ছেলের অভিযোগ, বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলে রাজনৈতিকভাবে তার বাবার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

তেজ হাজারিকা বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে আমার বাবার নাম এবং তার কথাগুলো সরকার নানা কাজে ব্যবহার করছে, মানুষকে হতাশ করে নাগরিকত্ব সম্পর্কিত ব্যথাজনক একটি বিল পাস করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। আমার বাবার সম্পর্কে অসংখ্য মানুষের মনে যা ধারণা, যা বিশ্বাস এতে তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

“আমি অসমের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সুধাকণ্ঠ ভূপেন হাজারিকা সবসময়ই অসমের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং আন্দোলন করেছেন। আমরা তাই এ সম্মান গ্রহণ করতে অস্বীকার করছি। পুত্র হিসেবে আমি জানাচ্ছি, ভারত সরকার তাকে যে মরণোত্তর সম্মান দিতে চাইছে আমরা তা গ্রহণ করব না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে অসমের মানুষ প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।”

ভূপেন হাজারিকার জন্ম আসামের সাদিয়ায় ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। ৮৫ বছর বয়সে ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই হাসপাতালে তিনি মারা যান। ভূপেন হাজারিকা আসামের মানুষ হলেও তিনি ছিলেন বাঙালিদের ভালোবাসার শিল্পী। তিনি প্রচুর বাংলা গান গেয়েছেন। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছিলেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়