জাবের হোসেন: ঋতুরাজ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ব্যস্ত শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ীরা। সব আবেদন, অনুরাগ, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বহি:প্রকাশের বড় মাধ্যম ফুল। আর বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ফুলের বিক্রি ও আমদানি দুটোই বেড়েছে এই বিশেষ দিবসকে সামনে রেখে। ব্যাপক বিক্রির আশায় আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখছেন অনেকে। মাঝরাতে পুরো শহর ঘুমিয়ে গেলেও ব্যস্ততা কমেনা ফুল ব্যবসায়ীদের। রাতভর ফুলের রিং তৈরিতে ব্যস্ত এই দোকানিরা। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি
একদিন পরই পহেলা ফাল্গুন। তার পরদিন ভ্যালেন্টাইন ডে। দুদিনের উৎসবের কথা মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুল আমধানি করেছে ব্যবসায়ীরা। এমনকি ভারত থেকেও বেশ কিছু ফুল আসবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ফুল ভেদে দামটাও বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ।
বিক্রেতারা বলেন, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে আমাদের অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। এখন ফুলের মালা তৈরি করছি। এক এক ফুলের মালা বা ফুলের দাম এক এক রকম, যেমন গাঁদার মালা ১০-৫০ টাকা, দেশি-বিদেশি গোলাপ ১০-২০ টাকা, রজনীগন্ধা ৫-১৫ টাকা, অর্কিড ফুল ২০০ টাকা, বেলি ৮-১৫ টাকা, গন্ধরাজ ১০-২০ টাকা, জারবেরার মালা ১০ টাকা, গøারিডিলাক্স ১০-৩০ টাকা।
ফুল ব্যবসায়ী মোমিনুল ইসলাম জানান, ফুলের ব্যবসা সাধারণত সপ্তাহের বৃহস্পতি এবং শুক্রবার হয়ে থাকে। তবে বিশেষ দিবস ২১ ফেব্রæয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, নববর্ষ এসব দিবসে বেশি বিক্রি হয়। বেশি বিক্রি হলেও ভালবাসা দিবসে এ ব্যবসায় লাভ হয় বেশি ।
ভালবাসা দিবসে বেশি বিক্রি হয় গোলাপ ফুল। সারাদেশে কয়েক প্রকার গোলাপ থাকলেও লিংকন গোলাপের চাহিদা বেশি। বিশেষ দিনে সাধারণত হাইব্রিড গোলাপের দাম চড়া থাকে। সাধারনত একটি গোলাপ ৫ টাকা হারে বিক্রি হলেও পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে এক একটি গোলাপ সর্বনিম্ন ২০ থেকে ৩শ টাকা হারে বিক্রিয় হয়। আর এদিনকে কেন্দ্র করে ফুলের চাহিদা পূরণে আগে থেকে চাষীদের অর্ডার দিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :