আশিক রহমান : একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা বলেছেন, আসাদ চৌধুরীর কবিতার ধরন হচ্ছে, খুব সাধারণ ভাষায়, অনেকটা সংলাপের ভঙ্গিতে, সহজ করে কবিতা লেখেন। এখন তাঁর ৭৭ বছর বয়স। আগের তুলনায় কাব্যচর্চা অনেকটা স্তিমিত হয়েছে। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তিনি কবিতার জায়গা থেকে অনেকটা সরে এলেও কবিতা লেখা বন্ধ করেননি। এই বয়সেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ছিলো এই কবির জন্মদিন। সাধারণ মানুষ ও কবিদের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আসাদ চৌধুরী ষাটের দশকের কবি। তাঁর সমসাময়িক কবিদের মধ্যে ছিলেন রফিক আজাদ, আবদুল মান্নান সৈয়দ, সিকদার আমিনুল হক, অরুণাভ সরকার, প্রশান্ত ঘোষাল, বুলবুল খান মাহবুব প্রমুখ। তাঁরা খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। যখন লেখালেখি শুরু করেন তাঁরা তখন সাধারণ আধুনিকতাকে গ্রহণ না করে উগ্র-আধুনিক কবিতা তৈরির জন্য ‘স্বাক্ষর’ নামে একটি গোষ্ঠী করেছিলেন। স্বাক্ষরগোষ্ঠীর ঘোষণাপত্রে তাঁরা বলেছিলেন, সিগারেট ও ছাইয়ের মতো জীবনকে উড়িয়ে দেয়াই হচ্ছে কবিদের কাজ। আর বাদবাকি সব অর্থহীন!
স্বাক্ষরগোষ্ঠীর আন্দোলনের পর নতুন ধরনের কবিতা লেখার চেষ্টা করলেন তাঁরা। তাঁদের নেতা ছিলেন মূলত রফিক আজাদ ও বুলবুল খান মাহবুব। তাঁদের সংগঠনের ঘোষণাপত্র লিখেছিলেন প্রশান্ত ঘোষাল। ‘স্বাক্ষর’ পত্রিকার একটা সংখ্যা তারা বের করেছিলেন। এর মাধ্যমে উগ্র-আধুনিক কবিতা লেখার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা ওই স্রোতে থাকতে পারেননি, ফিরে আসেন মূল স্রোতে । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নতুন করে তারা কবিতা লিখতে শুরু করেন আসাদ চৌধুরী তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রধান।
আপনার মতামত লিখুন :