অনলাইন ডেস্ক : ‘মনে আশা ছিল যদি পাগলা নদীতে একটা ব্রিজ দেখে যেতে পারতাম, আল্লাহর রহমতে ব্রিজ তো হলো কিন্তু ব্রিজের দুই পাশে মাটি না থাকায় ব্রিজটি আমাদের কোনো কাজে লাগতাছে না। ব্রিজ অইয়া গেছে তার পরেও গোদারা দিয়ে পারাপার হতে হয়। ক্যান যে মাটি ফ্যালে না সেইটাই বুঝতে পারতিছি না। এখন মনে হচ্ছে বেঁচে থাকতে হয়তো আর এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে মরতে পারব না।’ আক্ষেপ করে বলছিলেন কৃষ্ণনগর গ্রামের ৭০ বছরের এক মুরুব্বি আব্দুল খালেক সর্দার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কৃষ্ণনগরে পাগলা নদীর ওপর প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। সেতুটির পুরোপুরি কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের মে মাসে। পরে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত নির্মাণকাজের সময় বাড়ানো হলেও সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক এখনো নির্মিত হয়নি। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি জনগণের কোনো কাজেই আসছে না। সরকারের আরটিআইপি-২ প্রকল্পের অধীনে এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। তাদের অধীনে সেতুটি নির্মাণ করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘হাসান এন্টারপ্রাইজ’। এরই মধ্যে কৃষ্ণনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট পর্যন্ত পাকা সড়ক (পিচঢালা) নির্মাণের কাজ শেষ হলেও শুধু সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুটি চালু করা যাচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসী এখনো চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম বলেন, ‘এরই মধ্যে জেলার সর্বোচ্চ ফোরাম মাসিক উন্নয়ন সভায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুটির দুই পাশে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি করা হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই এটির সমাধান পাওয়া যাবে।’
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটির দুই পাড়ে জায়গা নিয়ে জটিলতা ছিল। সেটা দূর হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সম্প্রতি সেতুটি পরিদর্শন করে গেছেন। সেতুর পশ্চিম পাড়ের কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ব পাড়ের কাজ শুরু করে দ্রুত এর কাজ শেষ করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :