আসাদুজ্জামান সম্রাট : বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সংসদকে জানিয়েছেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার গ্যাস লাইন সম্প্রসারণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাবনার ঈশ্বরী থেকে ভেড়ামারা হতে কুষ্ঠিয়া-যশোর হয়ে খুলনা জেলায় গ্যাস সরবরাহের জন্য সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। ইসরাফিল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ১ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১৪ টি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে গ্যাস থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় ২ দশমিক ৮০ টাকা, ডিজেল থেকে ১৯ দশমিক ৩০ টাকা, ফার্নেস ওয়েল থেকে ১১ দশমিক ৪৮ টাকা এবং কয়লা থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় ৭ দশমিক ৩৮। উৎপাদন খরচ বেশী হলেও ভর্তূকি দিয়ে বিদ্যুতের বিক্রি মূল্য ৪ দশমিক ৮২ টাকা বলে জানান তিনি।
এ কে এম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে এলপিজি উৎপাদনে ও বোতলজাতকরণের প্লান্টের সংখ্যা মোট ২২ টি। যার মধ্যে সরকারী ২ টি এবং ২০ টি বেসরকারি মালিকানাধীন। এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, দেশে বর্তমানে দৈনিক ২৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। এছাড়া বিদেশ থেকে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট লিক্যুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস ( এলএনজি) জাতীয় গ্রীডে যোগ হচ্ছে। ফলে বর্তমানে দেশে দৈনিক ৩২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ সক্ষমতা রয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, এলএনজি বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়। দেশে মোট এলএনজির চাহিদা ৩ মিলিয়ন টন এবং আমদানি হচ্ছে মাত্র ৭ লাখ টন। তিনি জানান, চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে স্থলভাগে ২ডি ও ৩ডি সাইসমিক সার্ভে সম্পাদনের মাধ্যমে নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার ও নতুন গ্যাস কুপের অবস্থান চিহ্নিত করার কাজ চলছে। অপর দিকে সমুদ্র অঞ্চলে ৪টি প্রোডাকশন শেয়ারিং চুক্তির আওতায় ৫টি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানী একক ও যৌথভাবে তেল গ্যাস অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত রয়েছে। রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ভোলায় সম্প্রতি আবিষ্কৃত ১ দশমিক ০০৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদসহ দেশে এবছরের জানুয়ারী পর্যন্ত ১১ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :