জিয়ারুল হক : মাহমুদপুর, চরলটাখোলা, হরিচন্ডি এ তিনটি গ্রামে এখন পাগলা কুকুরের ভয়। দুই দিনে এই তিনটি গ্রামে শিশু নারী পুরুষসহ ২৭ জন কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভ্যাক্সিন না থাকায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে ঢাকায়। একাত্তর টিভি
গত এক মাসে কুকুরটি কামড়িয়েছে ৫০ জন মানুষকে। ভুক্তভোগিদের দাবি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ কুকুর লাফিয়ে এসে কামড়ে দিচ্ছে। আক্রান্তদের স্বজনদের দাবি কুকুর কামড়ানোর পর দোহার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তারেরা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে কোন চিকিৎসাই আমরা পাচ্ছি না।
এলাকার বাচ্চারা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে, বড় মানুষও ভয় পাচ্ছে চলাফেরা করতে। কখন যেন এসে কামড় দেয়। কুকুরটি যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়াচ্ছে। একটি মহামারি আকার ধারন করেছে এলাকায়। এতোকিছুর পরও এলাকাবাসির দাবি কুকুরটাকে না মেরে অন্য কোথাও তাড়িয়ে দিয়ে জলাতঙ্ক দূর করার।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কাছে ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তারা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে পারছেন না। ফলে কোন রোগি আসলে তারা ঢাকাতে রেফার করছেন। তবে তাদের দাবি তারা উপর মহলে জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই হয়তো বরাদ্দ হয়ে যাবে। তখন আবার তারা চিকিৎসা দিতে পারবে। একই সঙ্গে সবাইকে কুকুর থেকে সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :