শিরোনাম
◈ ডিসেম্বরে নির্বাচন আদায়ে সোচ্চার বিএনপি, সর্বদলীয় জনমত গঠনে জোর, চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ◈ সিলেটে বাংলা‌দেশ অলআউট ১৯১ রা‌নে, দিন শে‌ষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ বিনা উই‌কে‌টে ৬৭ ◈ সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগ চায় বিএনপি: চারটি বিষয়ে ব্যতিক্রম প্রস্তাব ◈ যাত্রাবাড়ী ও শাহবাগে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৫ ◈ রিজার্ভ বেড়ে পৌনে ২৭ বিলিয়ন ডলার ◈ বেড়ে দেড় লাখ টাকার মাইলফলকে পৌঁছাল স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম ◈ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত বাড়ল ◈ ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা ◈ মুখে কালো কাপড়, আওয়ামী লীগের ব্যানারে রহস্যজনক মিছিল (ভিডিও)  ◈ ‘অত্যাচার করে’ পুলিশ হত্যার জবানবন্দি নেয়া হয়েছিল: আইন উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৫৯ রাত
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শুধু গান, বাজনা, নাটক কোনো সংস্কৃতি নয়, মূল সংস্কৃতি থাকে মানুষের মস্তিষ্কের কোষের মধ্যে, চেতনার মধ্যে, বললেন কবি অসীম সাহা

জুয়েল খান : একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সংযুক্ত সম্পাদক অসীম সাহা বলেছেন, উচ্চ আদালতের আদেশের কারণে আমাদের বাংলা ভাষার চর্চা করতে হবে বা সর্বস্তরে ব্যবহার করতে হবে কেন? বাংলা আমাদের মাতৃভাষার চর্চা আমাদের করতেই হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ডিবিসি নিউজের এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

অসীম সাহা বলেন, ১৯৭০ সালে আমরা যখন বঙ্গবন্ধুর সাথে অসহোযোগ আন্দোলন করেছি, তখন কোনো সাইনবোর্ড বাংলা ছাড়া উর্দুতে লিখিনি। আমরা বলেছি বাংলা আগে লিখতে হবে তারপরে অন্য ভাষা। আমরা এখন আত্মঘাতীর পর্যায়ে আছি, কারণ বাংলা ভাষা বিলুপ্তির ঝুঁকির মধ্যে। একটা জাতি তখনই জাগে যখন তার সাংস্কৃতিক চেতনা সমৃদ্ধ হয়।

তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে লেখা আছে বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুই সেটা করেছেন। তারপরেও হাইকোর্ট কিংবা আমলারাসহ এখনো বহু জায়গাতে বাংলা প্রচলিত হয়নি। আমরা কোনটাকে উন্নয়ন ধরবো রাস্তাঘাট কিংবা ব্রিজ। এটাকে এক ধরনের উন্নয়ন বলতে পারি, তবে চেতনার বিপ্লব যদি না হয় তাহলে কোনো উন্নয়নই কাজে লাগবে না।

তিনি জানান, বিনম্রভাবে জুতা খুলে শহীদ মিনারে যাওয়া আমাদের সংস্কৃতির অংশ। আমরা একটা হীনমন্যতায় ভুগছি যে ইংরেজি না জানলে আমরা ছোট হয়ে গেলাম। বিশেষ করে রেডিওতে বাংলার পরিবর্তে হিন্দিমিশ্রিত ইংলিশ বলা হচ্ছে, কিন্তু মা-বাবা সন্তানদের নিষেধ করছে না। কারণ তারা ধরেই নিচ্ছে যে তাদের সন্তানরা এই ভাষা শিখলে বিদেশে যেতে পারবে। অভিজাত শ্রেণির মানুষরা এটা করছে।

অসীম সাহার বলেন, ইংরেজি না জানলে আমরা কিছুই করতে পারবো না, এটা একটা হাস্যকর ধারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলা ভাষা শেখানোর জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক না আছে আমাদের বাড়িতে, না আছে স্কুলে। বাংলা একাডেমিতে বাংলা শেখার জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সব অফিসে ব্যবহার করতে হবে সেই বইটি বিগত পাঁচ বছর যাবত নতুন করে ছাপা হয় না। এর বদলে আধুনিক বাংলা অভিধান নামে একটি বই বেরিয়েছে যেটা ভয়ংকরভাবে ভুলে ভরা। সুতরাং ব্যবহারিক বাংলা অভিধানকে পুনর্বিন্যাস করে আবার বের করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়