সাজিয়া আক্তার : সৃজনশীল পদ্ধতির দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কমেনি নোট ও গাইডবই নির্ভরতা। মুখস্থবিদ্যা কমাতে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয়। তবে তা কতটুকু কাজে এসেছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এটিএন নিউজ
পাঠ্য বইয়ের অনেক অনুশীলন বুঝতে না পাড়ায় সুমাইয়া নামের এক শিক্ষার্থী বইয়ের দোকানে এসেছে গাইডবই কিনতে। শিক্ষকদের অনেকেরই সৃজনশীল পড়ানোর বিষয়ে প্রশিক্ষণও নেই। শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই তাই পড়েছে নোট বই কেনার হিড়িক। যদিও ছাত্র-ছাত্রীরা বলছে মূল বইয়ের সহায়ক হিসেবেই গাইডবই কিনছে তারা।
বইয়ের দোকানে দোকানে এখন বিভিন্ন প্রকাশনীর ক্লাস ভিত্তিক প্যাকেজ সারি সারি সাজানো। আর শিক্ষকরাই বলে দেন কোন প্রকাশনীর গাইড বই কিনতে হবে।
মূল বইয়ের বদলে গাইড বা নোটবইয়ের নির্ভরতার প্রবণতায় শংকিত শিক্ষাবিদরা। তারা দায়ী করছেন সরকারের নজরদারির অভাবকেই।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক উমর ফারুক বলেছেন, সরকার গাইডবই নিষিদ্ধ করলেও সেই কাজটা যথাযথভাবে হয়েছে কিনা সেই তদারকি আমাদের সমাজে নেই।
শিক্ষাহীন খসড়ায় নোট বা গাইডবই মুদ্রণ বাঁধাই, প্রকাশ ও বাজারজাত করায় নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে তা মানা হচ্ছে কতটুকু?
রংপুর জেলার প্রশাসক এনামুল হাবীব বলেছেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে মত বিনিময়ের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে কাজ করে এগুলো রোধ করা যায় আমরা সেই ব্যবস্থা করবো ।
আপনার মতামত লিখুন :