জিয়ারুল হক : দেশের কয়লা চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগই পূরণ হয় ভারত থেকে আমদানি করে। ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয় জটিলতা। পরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে এবছর জানুয়ারিতে কয়লা আমদানি শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে শেরপুরের নালিতাবড়ির নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কড়ইতলা স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার এলসি খুলে কয়লা আমদানির জন্য। কিন্তু নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসায় নাকুগাঁও ও কড়ইতলা স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ, কোটি টাকা লোকসানের শংকায় ব্যবসায়ীরা। ইনডিপেনডেন্ট টিভি
ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়লা আমদানির জন্য আমরা যে এলসি খুলেছি এবং সরকারের যে কর দিয়েছি সেই টাকাও আমরা ফেরত পাচ্ছি না। আমরা যারা ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
এদিকে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ঐ এলাকার ইটভাটাগুলো। এতে বিপাকে পড়েছে ভাটার মালিক। তাদের দাবি কয়লা আমদানি বন্ধ থাকার কারণে যাদের কাছে কয়লা আছে তারা কয়লার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ইট তৈরিতে খরচ বেশি পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিক্রি করতে হচ্ছে আগের দামেই। একইসঙ্গে আমাদের উৎপাদন কমে গেছে ফলে আমাদের অনেক লস গুনতে হচ্ছে। অপরদিকে বেকার জীবন যাপন করছে কয়েকশ ভাটা শ্রমিক। তারা খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক কাস্টমস, হামিদুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের টাকা ভারতে আটকা পড়েছে এটা সত্য। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা তাদের সাথে যোগাযোগ করে একটা সমাধানে আসতে পারবে বলে মনে করি।
১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের আদালতে এবিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সে সময় কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে আর্থিক ক্ষতি কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আপনার মতামত লিখুন :