মোহাম্মদ মাসুদ : মেহেরপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের গম ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে চাষিদের। টানা চতুর্থ দফায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব হওয়ায় ফলন বিপর্যয় ও আর্থিক ক্ষতির আশংকা কৃষকদের। স্থানীয় কৃষি বিভগের পরমর্শে রোগের প্রাদুর্ভাব না কমায় ভরসা পাচ্ছেন না তারা। ইনডিপিনডেন্ট টিভি মেহেরপুরে এ বছর গমের আবাদ হয়েছে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে যা গত বছরের চেয়ে ২ হাজার হেক্টর বেশি। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে হুইট ব্লাস্ট রোগের প্রভাবে গমের শীষের সাথে শুকিয়ে যাচ্ছে গাছও। ফলে দূর থেকে পাকা ক্ষেত মনে হলেও বেশির ভাগ শীষে নেই গমের কোনো শাস।
জেলায় টানা চতুর্থ বছর ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে গম ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় ফলন বিপর্যয়ে হতাশ কৃষকরা। নানা ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করেও প্রতিকার মিলছে না, অভিযোগ তাদের। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ব্লাস্ট রোগ সনাক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিরোধের নানা চেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষি বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা। কিন্তু রোগ পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না স্বীকার করছেন তারাও। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, ডা. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ব্লাস্টের আক্রমণটা আমরা দেখেছি, লক্ষ্য করেছি যার শীষ আসা অবস্থায় নাটিভোর স্প্রে করেছে তাদের কিন্তু এটা হয়নি।
উৎপাদন বিবেচনায় দেশের এক পঞ্চমাংশ গমের আবাদ হয় ঠাকুরগাঁওয়ে। ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে তারাও দিশেহারা। সম্ভাব্য ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি কর্মকর্তা আফতার হোসেন জানান এই র রোগের বিভিন্ন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আশা করা যায় ব্লাস্টের প্রকোপ খুব বেশি ক্ষতি করতে পারবে না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ঠাকুরগাঁওয়ে এবছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে গমের আবাদ হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজার হেক্টর কম জমিতে। তার উপর ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব বন্ধ না হওয়ায় সংঙ্কা বাড়ছে চাষিদের।
আপনার মতামত লিখুন :