নিউজ ডেস্ক: সরকারি সেফ হোমে ‘অতিথি’ এলেই বসানো হতো আসর। আবাসিক কিশোরীদের পরতে হতো খোলামেলা পোশাক। পরে অশ্লীল গানের সঙ্গে নাচ এবং শেষে ধর্ষণ! কেউ রাজি না হলেই মারধর। ভারতের বিহারপ্রদেশের মুজাফ্ফরপুর সেফ হোমে এভাবে নিয়মিত চলতো যৌন নির্যাতন। জাগো নিউজ
দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) এর চার্জশিটে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি)
মুজাফ্ফরপুরের সরকারি সেফ হোমে অনাথ শিশুদের যৌন নিপীড়নের ওই ঘটনা নিয়ে বিহার সরকারকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চের একের পর এক প্রশ্ন করেন বিহার সরকারের কৌঁসুলিকে। বিহারের মুজাফ্ফরপুর সরকারি সেফ হোমে যৌন কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই।
আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক আরপি তিওয়ারির এজলাসে পেশ করা ৭৩ পাতার ওই চার্জশিটে সেফ হোমের কিশোরীদের উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। চার্জশিটে সিবিআই বলছে, ‘অতিথি’ এলেই কার্যত ‘জলসা’ বসতো সেফ হোমে। হোমের কিশোরীদের সেজেগুজে খোলামেলা পোশাক পরতে বাধ্য করা হতো। উত্তেজক ভোজপুরি গান চালিয়ে তার সঙ্গে নাচতে বলা হতো। এরপর ওই কিশোরীদের উপর চলত যৌন নির্যাতন-ধর্ষণ।
কেউ রাজি না হলে বা প্রতিবাদ করলেই পেটানো হতো। ‘প্রতিবাদীদের রাতে খাবার দেয়া হতো শুধু রুটি আর লবন। আর যারা রাজি হতো তাদের মিলত ভাল খাবার।’ দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চার তলা ওই হোমটি চালু রয়েছে। সিবিআইর আশঙ্কা, সরকারি এই সেফ হোমে দীর্ঘ সময় ধরেই যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে আসছে।
বিহার সরকারকে তিরস্কার করে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, ‘যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। সেই সময় নষ্ট করা হয়েছে। অনাথ শিশুদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা আপনারা (বিহার সরকার) করতে পারেন না। এই সব চলতে দিতে পারেন না। কৈফিয়ত দিতে হবে বিহার সরকারকে। না হলে আদালত রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করবে। আনন্দবাজার।
আপনার মতামত লিখুন :