সুজন কৈরী : আশুলিয়ায় ৯ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর এলাকা থেকে ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪২) কে আটক করেছে র্যাব-১। র্যাব বলছে, জোরপূর্বক নগ্ন ছবি তোলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে আটক মাদ্রাসা শিক্ষক। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানান র্যাব ১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী আশুলিয়া দোসাইদস্ত তারিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। পাশাপাশি স্থানীয় বাইতুল মামুন জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিকট পড়তো।ঘটনার দিন ২৭ জানুয়ারি মক্তবে পড়া শেষ হলে, শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভিকটিমকে তার বেড রুমে ডেকে নিয়ে এসে ঘর ঝাড়ু দিতে বলে। মক্তবের অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা চলে যাওয়ার পর আব্দুল্লাহ আল মামুন সুযোগ বুঝে জোরপূর্বক ভিকটিমের নগ্ন ছবি তুলে। পরে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ওই দৃশ্য আবার মোবাইলে ধারণ করে। এরপর ভিকটিমকে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। যদি জানায় তাহলে ভিকটিমকে হত্যার পর লাশ গুম করার কথা বলে। ঘটনার পর ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক আব্দুল্লাহ জানিয়েছে, ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে মাদ্রাসার ছুটি থাকায় তার স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে যায়। তার স্ত্রীর অনুপস্থিতে আব্দুল্লাহ ভিকটিমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। পরে কৌশলে তাকে ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে, সে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে একই দিনে, গাজীপুরের শরীফপুর এলাকায় ৫ বছরের শিশু তাহিকে ধর্ষণেরর পর হত্যা করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি ১৬ বছরের কিশোর রিফাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, পর্নোগ্রাফি থেকে আসক্ত কিশোর রিফাত তার আত্মীয় তাহিকে (৫) কাশবনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তার চিৎকারে একটি ইটের টুকরো দিয়ে শিশুটির মাথায় বার বার আঘাত করে তাকে হত্যা করে কিশোর রিফাত।
আপনার মতামত লিখুন :