লিহান লিমা: যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন বন্ধের প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চললেও এখনো বেতন পান নি ফেডারেল সরকারের হাজারো কর্মী। কর্মীদের বকেয়া বেতন প্রদান করতে বিলম্ব করছে মার্কিন সরকারী সংস্থাগুলো। বিজনেস ইনসাইডার, দ্য হিল
মার্কিন কৃষি বিভাগে খাদ্য নিরাপত্তা সেবায় কাজ করা মাইকেল ওয়াল্টার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোজ গার্ডেনে শাটডাউন বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, অতিসত্ত্বর বেতন প্রদান করবেন। আর এখন এটি দুই সপ্তাহ পেরিয়ে যাচ্ছে।’ সাউথ ডাকোটার বুরো অফ ইন্ডিয়ান এফেয়ার্সের দুই কর্মী জানান, ৩৫ দিনের শাটডাউনের সময় বকেয়া বেতনের কিংদাংশ পেয়েছেন তারা। ন্যাশনাল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এসোসিয়েশন জানায়, শাটডাউনের সময় রাতে এবং ছুটির দিনে অতিরিক্ত কাজ করালেও তার জন্য বাড়তি অর্থ প্রদান করা হয় নি। যা শ্রম আইনের লঙ্ঘন।
এদিকে ঠিক কয়জন কর্মী বেতন পান নি সেই নথিপত্রের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও হাতে পায় নি সরকারী সংস্থাগুলো। বাজেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের (ইউএসডিএ) মুখপাত্র ব্র্যাডলি বিশপ বলেন, শাটডাউন বন্ধের এক সপ্তাহের মধ্যে কর্মীদের বেতন নিশ্চিত করতে ট্রাম্প প্রশাসন অভূতপূর্ব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ৩১ জানুয়ারি মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই বেতন পেয়েছেন। কিন্তু এই পর্যন্ত কতজন বেতন পান নি এই প্রশ্নের উত্তর দেন নি তিনি। বুধবার মার্কিন সমীক্ষা ব্যুরো জানিয়েছে, এই পর্যন্ত প্রায় ৮৫০ জন কর্মী বেতন পায় নি। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বেতন প্রদান করা হবে।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বাজেট নিয়ে ট্রাম্প এবং আইনপ্রণেতাদের দ্বন্দ্বে সরকারী অচলাবস্থার মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ৩৫দিনের দীর্ঘ শাটডাউনের ফলে ছুটিতে যান কিংবা বেতন ছাড়াই কাজ করেন ফেডারেল সরকারের মোট ৮ লাখ কর্মী।
আপনার মতামত লিখুন :