শিরোনাম
◈ বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের  উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ◈ নির্বাচনী মাঠ প্রস্তুত হচ্ছে, আস্থা রাখতে চায় দলগুলো ◈ বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ, ভারতের চাপে অস্ট্রেলিয়া ◈ কপ২৯: ২০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দে ইইউর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ ◈ মামলা করলে ৫ লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার করে পাওয়া যাবে ◈ কলকাতার মেট্রোরেলে নারী যাত্রীকে বাংলা বাদ দিয়ে হিন্দিতে কথা বলা নিয়ে বাকবিতণ্ডা (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশসহ ১২৪ দেশে পা রাখলেই গ্রেফতার হবেন নেতানিয়াহু, দেশগুলো হল.. ◈ ‘বুক কাঁপে না  মিথ্যাচার করতে?’ ট্রলের জবাবে  উপস্থাপিকা দীপ্তি ◈ এবার পশ্চিমাদের ওপর হামলার ইঙ্গিত পুতিনের ◈ পাঁচটি দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:৫৭ সকাল
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩৩ মামলায় ৩৮৪ বছর কারাদণ্ড হয়েছিল জাহালমের!

অলক কুমার দাস, টাঙ্গাইল : পাটকল শ্রমিক জাহালমের ৩৮৪ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল দুদকের ৩৩টি ভুল মামলায়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আদালতের নজরে আসে। পরে দুদকের করা ভুল মামলায় দীর্ঘ তিন বছর কারাভোগের পর হাইকোর্টের নির্দেশে ৩ ফেব্রুয়ারি রোববার রাতে মুক্ত পান তিনি।

এই জাহালমের বিরুদ্ধে পাঁচ বছর আগে সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৩টি মামলা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাহালম টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।

দুদকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারের সময় জাহালম বারবার বলেছিলেন, ‘স্যার- আমি গরীব মানুষ, আমি এত টাকা ঋণ করবো কেন? স্যার আমি জাহালম, আবু সালেক না’। আমি নির্দোষ।’ কিন্তু পাটকল শ্রমিক জাহালমের কোনও কথাই সে সময় পুলিশ কিংবা দুদক শোনেনি। যার ফলে আসল আসামি সালেকের পরিবর্তে জাহালমকেই ৩ বছর কারাভোগ করতে হয়েছে।

জাহালম বলেন, দুদক কর্মকর্তাদের বারবার বলার পরও তারা আমার কোনও কথাই শোনেনি। ওই সময় আমাকে মারপিটও করা হয়। দুদকের ভুল ৩৩টি মামলায় আমাকে ৩৮৪ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। দুদক আমার জীবন থেকে তিনটি বছর কেড়ে নিয়েছে। মিথ্যে মামলায় জেলে প্রতিটি দিন ছিল আমার জন্য অসহনীয়। অন্যদের কাজকর্ম করে দিতে হত জেলখানাতে। কখনও ভাবিনি এই মিথ্যে মামলার জট খুলবে। মিডিয়া আসল তথ্য প্রকাশ করে আমাকে মুক্ত করায় মিডিয়ার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, আমিও চাই প্রকৃত দোষীর শাস্তি হোক। তবে আমার মতো নিরাপরাধ ব্যক্তিকে যেন দুদক না ফাঁসাতে পারে সেজন্য দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিচার দাবী করেন তিনি।

দুদুকের এ দায়িত্বহীনতার বিচার কি পাবে জাহালম? এমনটাই প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় জাহালমকে দুদকে হাজির হতে বলা হয় দুদকের দেয়া চিঠিতে। জাহালম সেসময় নরসিংদীর ঘোড়াশালের বাংলাদেশ জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। যথা সময়ে দুদকে হাজিরা দিয়ে জাহালম আবার তার নরসিংদীর জুট মিলের কর্মস্থলে চলে যান। এর দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশালের ওই জুট মিল থেকে জাহালমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জাহালমকে নাগরপুর থানায় আনা হয়। পরদিন টাঙ্গাইলের আদালতে তাকে তোলা হলে জেলখানায় পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। ৭ দিন টাঙ্গাইল কারাগারে রাখার পর তাকে কাশিমপুর-২ কারাগারে নেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই বন্দি ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়