মঈন মোশাররফ : জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে আছে। আমরা মাত্র কর্মসূচি দেয়া শুরু করলাম। আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীকে মিথ্যা এবং গায়েবি মামলার মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। হাইকোর্টে দেখবেন প্রতিদিন দশ থেকে পাঁচ হাজার লোক হাজিরা দিচ্ছে। কোনো বাছ বিচার নেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকুক আর না থাকুক তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। ফুটপাতের দোকানদার থেকে ভিক্ষারী পর্যন্ত এই মামলায় জড়াচ্ছে। আমি সরকারকে অনুরোধ করে বলছি আপনারা সাধারন মানুষের হয়রানি থামান। আমাদের ছেলেরা ঘরে থাকতে পারছে না। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছি তারপরেও অনুমতি পাচ্ছি না।
বুধবার বিবিস বাংলাকে তিনি আরো বলেন, মানুষের মনের মধ্যে এবং বুকের ভিতরে যে জ্বালা আছে তা অল্পদিনের মধ্যে প্রতিবাদ আকারে প্রকাশ পাবে। আমরা এমন কোনো কর্মসূচি দেবো না যেটা হঠকারি হতে পারে। কারণ বড়কোনো কর্মসূচি আরেকটা বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। আমাদের নেতা কর্মীরা খুবই ভয় ভীতির মধ্যে আছে। ২৪ মার্চ একটা গণশুনানি করবো কিন্তু ৬ তারিখে ছিলো আমাদের নাগরিক সংলাপ। আমরা বিভিন্ন হল বুকিং দিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশের অনুমতি পাচ্ছি না।
তিনি জানান, আমরা যেহেতু ইনডোরে কর্মসূচি করতে পারছি না, তাই বাহিরে একটা কর্মসূচি দিয়েছি। ২৯ তারিখ রাতে সমস্ত রাষ্ট্রীয় শক্তি ভোট ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়লো এবং ৩০ তারিখ ভোট প্রতারণা হলো। জনগণ এসব দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছে। ভোট লুন্ঠন হয়েছে। কর্মসূচি পালনের জন্য স্পেস দরকার। কিন্তু সরকার কোনো জায়গা দিচ্ছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :