মোহাম্মদ মাসুদ : মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিল মাছের পাশাপাশি এখন পাখিদেরও অভয়াশ্রম। প্রতিদিন এখানে জড়ো হচ্ছে অসংখ্য পরিযায়ী পাখি। সকাল-সন্ধ্যা অতিথি ও স্থানীয় পাখির কলকাকলিতে মুখর বিলটি হয়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর। তবে, পাখির খাদ্য সংকট, শিকারির তৎপরতা ও আবাসন পরিবর্তনের কারণে ক্রমশ কমে আসছে পাখির উপস্থিতি। সূত্র : সময় টিভি।
শীতের শুরুতেই ঝাঁক বেঁধে বিলে আসে নানা প্রজাতির পাখি। বিলের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত শুধু পাখিরই অবাধ বিচরণ। রাত কিংবা ভোর অথবা দিনের সোনালি রোদ গায়ে মেখে বেগুনি কালেম, সরালী, বালিহাঁসসহ নাম না জানা অসংখ্য পাখির জলকেলি বিলের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছে কয়েকগুণ। আর এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে পাখি ও প্রকৃতি প্রেমীদের বেড়ানোর অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এই বাইক্কা বিল।
খাদ্য সঙ্কটের পাশাপাশি শিকারিদের তৎপরতার কারণে পাখিদের উপস্থিতি কমে যাওয়ার আশংকা দর্শনার্থীদের।
দর্শনার্থীরা বলেন, এখানে তিন থেকে চার প্রকার পাখি আছে। আগেরবার যখন এসেছিলাম তখন সুন্দর সুন্দর পাখি ছিল। কিন্তু এবারে নেই। এছাড়া রাস্তা ভাঙ্গাচোরা। এটি ঠিক করা হলে আরো দর্শনার্থী আসতো।
জেলা প্রশাসন বলছে, বাইক্কা বিলকে পর্যটনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হবে । সিএলআরএস সাইড অফিসার মো মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'বাইক্কা বিলের যাওয়ার রাস্তার সমস্যার বিষয়ে জেলা প্রশাসন ওয়াকিবহাল। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।
বাইক্কা বিলসহ আশেপাশের ১শ' ৭০ হেক্টর আয়তনের এলাকাকে পাখির স্থায়ী অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। গত বছরের পাখি শুমারি অনুযায়ী, ১০ হাজার ৭শ' ১২টি পাখির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এ বিলে। প্রতি শীতেই ৪০ প্রজাতির দেশি বিদেশি পাখির আগমন ঘটে এখানে।
আপনার মতামত লিখুন :