ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও হোটেল সারিনার যৌথ উদ্যোগে শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী ইরানিয়ান ফুড ফেস্টিভাল শুরু হয়েছে।
শনিবার ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর সারিনা হোটেলে এ ফেস্টিভালের শুভ উদ্বোধন করেন ঢাকাস্থ ইরানি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেযা নাফার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওমান অ্যাম্বেসির হেড অফ মিশন তায়েব সালিম আব্দুল্লাহ আল আলাভি,তুরস্কের ডেপুটি চিফ অফ মিশন ইনিস ফারুক ইরদাম, আফগানিস্তান দূতাবাসের সিনিয়র কূটনীতিক ফোয়াদ আহমেদ নাজিম জাদেহ, ইরাক দূতাবাসের সিনিয়ক কূটনীতিক কাহতান আল ইয়াসির,ইরান কালচারাল সেন্টারের কাউন্সিলর সাইয়্যেদ মেহদী হোসেইনী ফায়েক প্রমুখ। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সারিনা হোটেল এর চেয়ারপারসন সাবেরা সারোয়ার নিনা, নির্বাহী পরিচালক গোলাম মাশকুর, ফাইন্সার পরিচালক মোহাস্মদ আলী চৌধুরী, পরিচালক সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং শিবাষীশ কোলে সহ হোটেল কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, খাবার শুধু ক্ষুধাই নিবারণ করে না, খাবারের সাথে জড়িত থাকে অনেক দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। সুন্দর ও রুচিশীল খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় জয় করা যায়, সুসম্পর্ক স্থাপন করা যায়। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে খাবারও হতে পারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
তিনি বলেন, ইরানের সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ভেজালমুক্ত খাবার শুধু এশিয়ায় নয়, ইউরোপসহ সারা পৃথিবীতে রয়েছে এর কদর। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ইরানের সুদীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে রয়েছে সেখানকার নানা ধরনের খাবারের ঐতিহাসিক যোগসূত্র। এসব ব্যতিক্রমধর্মী খাবার একদিকে যেমন মানুষকে শান্তি দিবে, তেমনি ইরানের মানুষের সুরুচিবোধকে জানতেও সাহায্য করবে।রাষ্ট্রদূত এসময় ফেস্টিভালে আগতদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের মাঝে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়ার কথা ঘোষণা করেন।
হোটেল কর্মকর্তা নাবিলা তাবাসুম জানান, এ ফেস্টিভাল প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু করে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে। ৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্তএ ফেস্টিভাল সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে। ফেস্টিভাল উপলক্ষে নানা রকম ফলমূল ও মসলা সামগ্রী সরাসরি ইরান থেকে আনা হয়েছে।
বিশিষ্ট ইরানি শেফ হোসাইন নাজমির তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত করা হয়েছে বিশেষ স্বাদের খাবার। তিনি জানান, ভেড়া বা গরুর মাংসের তৈরি বেশ কিছু কাবাব রয়েছে যা ইরানে খুবই জনপ্রিয়।এসব কাবাবের মধ্যে যে কাবাবটির নাম সবার আগে উচ্চারিত হয় সেটি হলো কাবাব কুবিদেহ। এটি বর্তমানে ইরানের জাতীয় খাবারে পরিণত হয়েছে ।এই কাবাবের অপর নাম চেলু কাবাব। জাফরান, গোশত, মাখন ও টমেটো ফ্রাইয়ের সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত কাবাব কুবিদেহ ও রাইস খেতে দারুণ সুস্বাদু। ইরানের বিখ্যাত কিছু কাবাবের মধ্যে রয়েছে, কুবিদেহ, বার্গ, শেনজে এবং বাখতিয়ারি। প্রেসবিজ্ঞপ্তি
আপনার মতামত লিখুন :