জুুয়েল খান : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে ক্ষমতায় আসার পরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে সেই উদ্যোগ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে স্বাস্থ্য খাতের সামান্য একজন হিসাবরক্ষক টাকার পাহাড় গড়েছে, কিন্তু সেই কর্মচারীর স্বাক্ষরে কোনো ফাইল পাস হয় না, তাহলে তার পেছনে কার স্বাক্ষর আছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। দুর্নীতি আসলে একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হয়, এখন সেই সিন্ডিকেটটাকে খুঁজে বের করতে হবে। দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে নানা সময় সমালোচনা হয়ে থাকে আর সেই সমালোচনার জন্য দায়ী করা হয় চিকিৎসকদের। আসলে এই সমস্যার জন্য শুধু ডাক্তাররাই দায়ী নয়, স্বাস্থ্য প্রশাসনেরও অনেকটা দায়িত্ব আছে। তিনি জানান, দুর্নীতির কারণে স্বাস্থ্য খাতে খারাপ যন্ত্রপাতি কেনা হয়। যন্ত্রপাতির ত্রুটির কারণে ডাক্তাররা ভালো চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে পারেন না আর এর দায়ভার আসে ডাক্তারদের ওপরে। একইসাথে চিকিৎসা ক্ষেত্রে খারাপ ব্যবস্থাপনাও এই খাতের সমস্যা সৃষ্টির কারণ।
আমরা চাই সার্বিকভাবে তদন্ত করে সকল দোষী ব্যক্তিদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর সরকার এখন যে পদক্ষেপ নিচ্ছে আমি সেই পদক্ষেপের ওপরে আশাবাদী। তবে আমরা এটাকে একটা স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে দেখতে চাই। এখানে দুর্নীতি করার সুযোগ যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্নীতিকারী যে পর্যায়েরই হোক তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :