হ্যাপি আক্তার : মাদক সাম্রাজ্য বলে খ্যাত কক্সবাজার এখন মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য আতঙ্কের নগরী। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেয়ার পর মাদকের প্রবেশদ্বার টেকনাফে শুরু হয় মাদক বিরোধী অভিযান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান জোরদার হওয়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই এখন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ শুরু করেছেন। তবে সচেতন মহলের দাবি, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অর্জিত অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরি। সময় টেলিভিশন।
গত এক বছরে কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ২ হাজার ৩৭১ জন এবং উদ্ধার হয়েছে দেড় কোটিরও বেশী ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ৮২৪ টি। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া নাফ নদী অনেকটাই অরক্ষিত। এই সুযোগে বিজিবি, কোস্টগার্ড দায়িত্বে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে মরণ নেশা ইয়াবা। যা ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ও নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে গত ৩ মাসে মারা গেছে ৪৫ জন। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় আসে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘এতে ইয়াবা পাচার, ইয়াবা ব্যবসা কমে যাবে। যুব সমাজ এই মহামারী থেকে রক্ষা করা যাবে। তবে মাদক ব্যবসা অবৈধ সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া ব্যবসায়ীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি সচেতন মহলের।
পিপলস ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘যারা এ ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা যেগুলো উপার্জন করেছেন সে টাকাগুলো সরকারি কোষাগারে নিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।’
আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ইয়াবার বিস্তার অনেকাংশ কমে আসবে বলে মত কক্সবাজার জেলা সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের। তিনি বলেন, ‘গড ফাডারসহ পৃষ্ঠপোষক এবং যারা সরাসরি যুক্ত আছে তাদের নামের তালিকা রয়েছে। আত্মসমর্পণ করে ভবিষ্যতে তারা যদি এই খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকে তাহলে এটা অনেক অগ্রগতি হবে। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :