নিজস্ব প্রতিবেদক: এর আগে একজন ক্রিকেটারের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এমন জল ঘোলা হয়নি। কে কাকে বাঁচাতে কিংবা বাদ দিতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তা পর্দার আড়ালেই থাকছে। দায় কেউই নিতে না চাইলেও একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে, সেটি হলো- তথ্যবিভ্রাটে সাব্বির দলে। তথ্যবিভ্রাট কে করেছে সেটি খুঁজতে যাওয়াটাও আরেক বোকামি। তার চেয়ে বিশেষজ্ঞরা ভাবছেন সাব্বির দলে এটাই মেনে নেয়া উচিত এবং সুযোগটি যথাযথ কাজে লাগাতে পারলে টিকে যাবেন তিনি, তা না হলে জাতীয় দলের প্লেয়ার লিস্টে আর দেখা যাবে না এই তরুণের নাম।
বাজে আচরণের কারণে গত সেপ্টেম্বরে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা পান সাব্বির রহমান। যার মেয়াদ শেষ হবে ফেব্রুয়ারির শেষ দিন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে সাব্বিরকে ফেরানো হয়েছে বাংলাদেশ দলে। এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন দাবি করেছিলেন, অধিনায়ক মাশরাফির চাওয়াতেই সাব্বির দলে। তবে মাশরাফি ওই দাবি নাকচ করে জানিয়েছেন, সাব্বিরের ব্যাপারে তিনি নিজের মতামত দিয়েছেন শুধু, এর বেশি কিছু নয়। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের কেউই পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি।
এ দিকে, গত সোমবার বিপিএলের খেলা দেখতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে গিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানেও উঠে আসে সাব্বিরের বিষয়টি। কিন্তু বিসিবি সভাপতিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। পাপন জানালেন, দল নির্বাচন নিয়ে তিনি কোনো হস্তক্ষেপ করেন না। ফলে সাব্বির কিভাবে দলে ঢুকেছে তা জানা নেই এই কর্তার। দল গঠন হওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা যায় বোর্ড সভাপতির কাছে। সেখানেই তিনি জানতে পারেন সাব্বিরের বিষয়ে। ‘সবার সই হওয়ার পর যখন লিস্ট আমার কাছে আসে, তখন আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম ওর শাস্তির ব্যাপারটা। শাস্তি শেষ হচ্ছে কবে। আমাকে বলেছে, শাস্তি জানুয়ারিতে শেষ। হয়তো ভুল করে বলেছে। একটা হতে পারে, মেয়াদটা কমিয়ে দেয়ায় শাস্তি কমে গেছে। আমি তখন আর বেশি কিছু জিজ্ঞাসা করিনি।’
তবে সাব্বিরের দলে অন্তর্ভুক্তির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অধিনায়ক ও কোচের দিকেই বল ঠেলে দিলেন পাপন, ‘সাব্বিরের ব্যাপারটা হচ্ছে- হতে পারে অধিনায়ক-কোচ হয়তো চেয়েছেন। আগ থেকেই চাইছিলেন বিশ্বকাপের জন্য। তারা বলছিলেন যদি সে ভালো করে (নিউজিল্যান্ড সিরিজে) তাহলে বিশ্বকাপে একটা সুযোগ থাকবে।’
সাব্বিরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিলেন বিসিবি কর্তা, ‘আমি মনে করি আরো বেশি সময় নিয়ে, আরো বুঝেশুনে ফিরলে ওর জন্য ভালো হতো। এখন ওর জন্য ঝুঁকি অনেক বেশি। একটা ছোট ভুলে ওর ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে। এটা অবশ্যই ওর জন্য শেষ সুযোগ। ফের এমন হলে জীবনেও আর খেলতে পারবে না। সূত্র: নয়াদিগন্ত
আপনার মতামত লিখুন :