শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০১৮, ০৫:২৫ সকাল
আপডেট : ০৭ জুলাই, ২০১৮, ০৫:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাঁচ বছরের প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে ১২ বছরে!

ডেস্ক রিপোর্ট : অবশেষে ১২ বছরে শেষ হলো ‘সিগন্যালিংসহ টঙ্গী-ভৈরববাজার সেকশনে ডাবল লাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ। ৫ বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও তাতে সময় লাগলো অতিরিক্ত ৭ বছর। গত এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। এখনো আনুষ্ঠানিক সমাপ্ত ঘোষণা না হলেও এ অবস্থায়ও সংশোধন করতে হচ্ছে প্রকল্পটি। এক্ষেত্রে খরচ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

এরই মধ্যে প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াকরণ শেষ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে এ প্রস্তাবনাটি।

প্রকল্পটি সংশোধনের কারণ হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, নির্মাণ খাতে খরচ ৪০৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেড়েছে। এছাড়া, সম্পদ সংগ্রহ খাতে ৪০৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার খরচ কমেছে। পাশাপাশি অন্যান্য কিছু খাতে খরচ কমায় সার্বিকভাবে প্রকল্পটি থেকে ২ হাজার ২১২ কোটি ৬১ লাখ টাকা থেকে ৩৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা কমিয়ে ২ হাজার ১৭৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু বার বার মেয়াদ বাড়িয়েছে অবশেষে চলতি বছরই তা শেষ হতে যাচ্ছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ সেকশনটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে এবং উপ-আঞ্চলিক করিডোরের একটি বড় অংশ। এ উপ-অঞ্চলে পরিবহণ এবং ট্রান্স শিপমেন্টের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের রয়েছে। যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু এবং ঢাকা চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোর দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিবেশি দেশগুলোকে চট্টগ্রাম পোর্টের মাধ্যমে মালামাল পরিবহণ সুবিধা দিতে পারে। এর মাধ্যমে দেশী ও বিদেশী উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করা সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের চাহিদা মেটানোর জন্য অবিচ্ছন্ন ডাবল লাইন প্রয়োজন। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোরকে ডাবল লাইনে উন্নীত করতে ১৯৬২ সাল থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হলেও দীর্ঘদিন তা বাস্তবায়িত হয়নি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোরের মোট ৩২০ দশমিক ৭৯ কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ১১৭ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার ডাবল লাইন বিদ্যমান রয়েছে। এ করিডোরের অবশিষ্ট ২০৩ দশমিক ১২ কিলোমিটার ডাবল লাইনে উন্নীত করতে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে টঙ্গী-ভৈরববাজার সেকশনে ৬৪ কিলোমিটার মিটার গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পটি ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর একনেকে অনুমোদিত হয়। অনুমোদনের পর দরপত্র অনুযায়ী বিভিন্ন অংশের দর ও বাস্তবায়ন মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে প্রকল্পের প্রথম সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব ২০১১ সালের ২১ জুনে একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে প্রকল্পের কাজের পরিধি বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ব্যয় বৃদ্ধি, পরামর্শকের সংখ্যা ও ব্যয় বৃদ্ধি, প্রকল্প সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদন করেন। এখন তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম গুলো হচ্ছে, ৮৬ কিলোমিটার ট্র্যাক নির্মাণ, ৪টি স্পেশাল ব্রিজ, ৪টি মেজর ব্রিজ, ৩৬টি মাইনর ব্রিজ ও ৩১টি কালভার্ট নির্মাণ, ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৬৫টি কনক্রিট স্লিপার সংগ্রহ, ৬ হাজার ৪২৫ সেট ফিসপ্লেট সংগ্রহ, ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৪৫ ঘন মিটার ব্যালাস্ট সংগ্রহ ও স্থাপন, ১০টি স্টেশন ভবন নির্মাণ, ১০টি স্টেশনে সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন ওয়ার্ক স্থাপন, ১১টি স্টেশনে ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস এবং ২টি জীপ, ৪টি ডাবল কেবিন পিক-আপ ও ২টি মাইক্রোবাস সংগ্রহ।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রকল্পের আওতায় সিগন্যালিংসহ টংগী-ভৈরববাজার সেকশনে ডাবল লাইন রেলপথ নির্মিত হওয়ায় নতুন এলাকাটি রেল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রামের সাথে নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত রেল পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখছে। সূত্র : সারাবাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়