ডেস্ক রিপোর্ট: এমপিওভুক্তির দাবিতে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের আমরণ অনশন অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার রাজধানীর প্রেসক্লাবের উল্টো পাশের রাস্তায় ১৩তম দিনের মতো আমরণ অনশন করছেন তারা।
অনশনরত শিক্ষকরা জানান, গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিতে আমরা এমপিওভুক্তির দাবিতে রাজপথের আন্দোলন স্থগিত করেছিলাম। এরপরও আমরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে পুলিশি আটকের শিকার হয়েছি। তাই গত ২৫ জুন থেকে আমরা বাধ্য হয়ে এ কর্মসূচি পালন করা শুরু করেছি। আমরা অনশনরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা গত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে শিক্ষকতা করে আসছি। কিন্তু শিক্ষকরা সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এক টাকাও বেতন পান না।
তারা বলেন, ৭ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রীও তার বক্তব্যে শিক্ষকদের গভীর অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী প্রহসনের এমপিও নীতিমালা করে শিক্ষকদের রাজপথে ঠেলে দিয়েছেন। এমপিওভুক্তির বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করেছেন। তাহলে আমরা যারা আগে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি তারা কী করব?
শিক্ষকদের দাবি, যে নীতিমালার আলোকে প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও পাঠদানের অনুমতি দেয়া হয়েছে একই নীতিমালার আলোকে এমপিওভুক্তি করা হোক।
তারা বলছেন, শর্ত মেনেই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন শিক্ষকরা। এখন এমপিওভুক্তির জন্য নতুন করে কোনো শর্ত মানতে রাজি নই। আগে বেতন পরে শর্ত। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে।
অনশন অংশ নেয়া রফিক নামে এক শিক্ষক বলেন, যথাযথ শর্ত মেনেই স্বীকৃতি মিলেছিল। অথচ বছরের পর বছর আমরা মেধা ও শ্রম দিয়ে যাচ্ছি বিনা বেতনে। আর সম্ভব নয়। আমরা এমপিও নীতিমালা-২০১৮ মানতে রাজি নই।
আপনার মতামত লিখুন :