শিরোনাম
◈ জিম্মিদের ছেড়ে দিতে চায় হামাস, যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য পূর্ণাঙ্গ চুক্তির দাবি ◈ চট্টগ্রাম-নারায়ণগঞ্জ পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু মে-তে, সাশ্রয় হবে কোটি টাকা ◈ দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ◈ রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী সহ দেশ ত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ◈ ভারতে সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করল দিল্লি, পাল্টা দিল নজর ঘোরানোর অভিযোগ ◈ ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২, ট্রাম্প বললেন ‘বন্দুক নয়, মানুষ গুলি করে’ ◈ পাকিস্তানের খনিজ ভাণ্ডারে ট্রাম্প প্রশাসনের নজর, বিনিয়োগে বাধা নিরাপত্তা ও অবকাঠামো সংকট ◈ এবার চীনের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধ শেষের ইঙ্গিত ট্রাম্পের, টিকটক চুক্তি বিলম্বিত হতে পারে ◈ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত, পারস্পরিক স্বার্থে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান বিশেষজ্ঞের ◈ হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:১৯ সকাল
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তারামন বিবি সঠিক সময়ে মূল্যায়িত হননি : বর্ণনা ভৌমিক

আমিরুল ইসলাম : বীর প্রতীক তারামন বিবিকে যখন মূল্যায়ন করার সময় ছিলো, তখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ছিলো না বলে জীবনের গুরুত¦পূর্ণ সময়টাতে আমরা তাকে স্বীকৃতি দিতে পারিনি বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ মলয় ভৌমিকের কন্যা, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক বর্ণনা ভৌমিক।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারামন বিবি বাংলাদেশের দুজন বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত নারীর মধ্যে একজন। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করার পর ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি নিখোঁজ বা অন্তরালে ছিলেন। তিনি যখন মুুক্তিযুদ্ধে যান তখন তার বয়স তেরো থেকে চৌদ্দ বছর। ২০১৮ সালের একটা নারী এখনো কতো প্রতিকূলে আছে । ১৯৭১ সালের প্রেক্ষাপটে প্রত্যন্ত এলাকার একটা কিশোরী মেয়ে হয়ে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কখনো রান্না করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। কখনো প্রতিবন্ধী সেজে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মুক্তিবাহিনীর কাছে আদান-প্রদান করেছিলেন। কখনো নিজ হাতে অস্ত্র নিয়ে সরাসরি সম্মুুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতার এতো বছর পর আজকে বিজয়ের মাসের শুরুতে তাকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, তারামন বিবির মতো মানুষ আসলে স্বীকৃতির জন্য বা অর্থলাভের জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। এই যে আজকে তারামন বিবিকে দেশের সবাই চেনে এটাই তারামন বিবির বড় প্রাপ্তি। আজকের প্রজন্ম তারামন বিবির কিশোরী বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের চেতনাকে যদি ধরে রাখতে পারেন, তাহলে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার সংগঠনে তাদের অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে পারবে। তার সম্পর্কে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে পারলে বর্তমান প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে মনে করেন এই শিক্ষাবিদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়