আসিফুজ্জামান পৃথিল : ভারতের অযোধ্যায় বিভিন্ন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রোববার বাবরি মসজিদ চত্বরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে বিশাল জনসমাবেশ করেছে। এ ঘটনায় ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরের পর ভারতে আবারও দেখা দিয়েছে বড় রকমের ধর্মীয় সহিংশতা তথা দাঙ্গার আশঙ্কা। বিবিসি, ইয়ন
এই উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর পক্ষে দেওয়া হচ্ছে উত্তেজনামূলক এবং ঘৃণাসূচক বক্তব্য। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের 'ধর্ম সংসদ' নামের সমাবেশ থেকে তাদের নেতা ও সন্যাসীরা দাবি তুলেছেন, আদালতের অপেক্ষায় নাথেকে সরকারকে নির্বাহী আদেশ জারি করে হলেও মন্দির নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অযোধ্যাতেই আজ আরো একটি সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপির শরিক হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনা। ওই সভা থেকে শিবসেনার নেতা উদ্ধব ঠাকরে হুমকি দিয়েছেন, মন্দির বানানো নাহলে বিজেপি কিছুতেই ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তিনি স্লোগান দিয়ে বলেছেন, ‘আগে মন্দির, তারপর সরকার!’
শিবসেনার সভায় যোগ দিতে মহারাষ্ট্র থেকে কমপক্ষে ১৫টি ট্রেন ভর্তি করে শিবসেনা কর্মীরা অযোধ্যায় এসেছেন। এছাড়াও বিশ^ হিন্দু পরিসদের সভায় যোগ দিয়েছেন লাখ খানেক উগ্র কর্মী। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য থেকে অসংখ্য আরএসএস কর্মীও যোগ দিয়েছেন।
এদিকে এ সমাবেশ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আতঙ্কে রয়েছেন অযোধ্যার মুসলিমরা। র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডের পাঁচটি কোম্পানি এখন অযোধ্যায় মোতায়েন আছে। ড্রোন দিয়েও সর্বক্ষণ আকাশ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তবে, উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব মনে করেন, এই নিরাপত্তাও যথেষ্ঠ নয়। অযোধ্যার যা পরিস্থিতি, তাতে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা দরকার।
বিশ^ হিন্দু পরিষদের সমাবেশে নির্মোহি আখড়ার রামজি দাস বলেছেন, মন্দির নির্মঅনের ঘোষণার জন্য খুব বেশি প্রতিক্ষা করতে হবে না। তিনি জানান আগামি বছরের শুরুতেই প্রয়াগরাজে (এলাহবাদ) কুম্ভ মেলার সময় এই ঘোষণা দেওয় হবে।
আপনার মতামত লিখুন :