শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:৩০ সকাল
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দাবিতে লাখো হিন্দুর সমাবেশ, আবারো সহিংসতার আশঙ্কা

আসিফুজ্জামান পৃথিল : ভারতের অযোধ্যায় বিভিন্ন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রোববার বাবরি মসজিদ চত্বরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে বিশাল জনসমাবেশ করেছে। এ ঘটনায় ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরের পর ভারতে আবারও দেখা দিয়েছে বড় রকমের ধর্মীয় সহিংশতা তথা দাঙ্গার আশঙ্কা। বিবিসি, ইয়ন

এই উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর পক্ষে দেওয়া হচ্ছে উত্তেজনামূলক এবং ঘৃণাসূচক বক্তব্য। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের 'ধর্ম সংসদ' নামের সমাবেশ থেকে তাদের নেতা ও সন্যাসীরা দাবি তুলেছেন, আদালতের অপেক্ষায় নাথেকে সরকারকে নির্বাহী আদেশ জারি করে হলেও মন্দির নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অযোধ্যাতেই আজ আরো একটি সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপির শরিক হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনা। ওই সভা থেকে শিবসেনার নেতা উদ্ধব ঠাকরে হুমকি দিয়েছেন, মন্দির বানানো নাহলে বিজেপি কিছুতেই ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তিনি স্লোগান দিয়ে বলেছেন, ‘আগে মন্দির, তারপর সরকার!’
শিবসেনার সভায় যোগ দিতে মহারাষ্ট্র থেকে কমপক্ষে ১৫টি ট্রেন ভর্তি করে শিবসেনা কর্মীরা অযোধ্যায় এসেছেন। এছাড়াও বিশ^ হিন্দু পরিসদের সভায় যোগ দিয়েছেন লাখ খানেক উগ্র কর্মী। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য থেকে অসংখ্য আরএসএস কর্মীও যোগ দিয়েছেন।

এদিকে এ সমাবেশ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আতঙ্কে রয়েছেন অযোধ্যার মুসলিমরা। র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডের পাঁচটি কোম্পানি এখন অযোধ্যায় মোতায়েন আছে। ড্রোন দিয়েও সর্বক্ষণ আকাশ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তবে, উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব মনে করেন, এই নিরাপত্তাও যথেষ্ঠ নয়। অযোধ্যার যা পরিস্থিতি, তাতে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা দরকার।

বিশ^ হিন্দু পরিষদের সমাবেশে নির্মোহি আখড়ার রামজি দাস বলেছেন, মন্দির নির্মঅনের ঘোষণার জন্য খুব বেশি প্রতিক্ষা করতে হবে না। তিনি জানান আগামি বছরের শুরুতেই প্রয়াগরাজে (এলাহবাদ) কুম্ভ মেলার সময় এই ঘোষণা দেওয় হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়