মতিনুজ্জামান মিটু : মুসলমানদের জন্য যেমন শূকর তেমনই আওয়ামী লীগের জন্য অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হারাম।পরম প্রিয়বন্ধু ভারতের কুটনীতিকের আগাম লেখা থেকেই অপ্রিয় এই কথাটি উঠে এসেছে। বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী দক্ষিণ এশিয়া ভিত্তিক একটি প্রত্রিকায় লিখেছেন, ক্রমেই এমন অভিমত জোরালো হচ্ছে যে, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ লজ্জাজনক সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে।’ অনেকে বিশ্বাস করেন, শেখ হাসিনা নির্বাচন ‘ম্যানেজ’ করবেন। নির্বাচন সামনে নিয়ে আওয়ামী লীগের বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের এই কুটনীতিকের এ লেখায় অনেকটাই আল্লাদিত হয়েছেন বিএনপিসহ প্রতিপক্ষ মহল। তাদের পত্রপত্রিকায় লেখাটি ফলাও করে ছাপাও হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ এতে নাখোশ হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
এদিকে স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় কুটনীতিকের এই লেখা নিয়ে অভিজ্ঞ মহলে নানা ভাবনার উদয় হয়েছে।তাদের প্রশ্ন নির্বাচনের ঠিক আগ মূহুর্তে ওই ধরনের লেখা প্রকাশ করা বন্ধু রাষ্ট্রের কুটনীতিকের পক্ষে ঠিক হয়েছে কিনা? বা ওই লেখার মধ্যে দিয়ে অভিজ্ঞ ওই কুটনীতিক কাকে কি সিগনাল দিয়েছেন? যা হোক লেখাটি ঠিক লেখার জন্যই নয়। লেখাটির মধ্য দিয়ে ইঙ্গিতে হুঁশিয়ার করা হয়েছে এবং কি করতে হবে তার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
বর্তমানের বাস্তবতায় ওসব নিরপেক্ষতাকে বরণ করা হবে অনেকটাই আত্মঘাতি। এক্ষেত্রে ম্যানেজ করাই হবে কার্যকর পথ। সবচেয়ে কাছের বন্ধু রাষ্ট্রের অভিজ্ঞ এই কুটনীতিকের লেখাকে গুরুত্ব দেয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ আছে কিনা তা এক মাত্র আওয়ামী লীগ প্রধানই জানেন। জেনেশুনে কেউ এমন আত্মহননের পথে যাবেন এমন ভাবনা মাথায় না আসাই ভাল।
পিনাকের লেখা অনুযায়ি ম্যানেজ করাকে দক্ষিণ এশিয়ায় নির্বাচনী জালিয়াতি বলা হয়। যেমন করে ফুটবল খেলায় গোলের জন্য ফাউলের পথ বেছে নেওয়া হয়, তেমনই ক্ষমতার জন্য ম্যানেজ করাও জালিয়াতি নয়, যদি না পড়ে ধরা।
যা হোক হারামতো আর খাওয়া যায়না। তাই পিনাকের লেখা প্রকাশের অনেক আগেই বাস্তবতা অনুধাবন করে চলছে ম্যানেজের নানা প্রক্রিয়া।
আপনার মতামত লিখুন :