ডেস্ক রিপোর্ট: মেঘে ঢাকা আকাশ। আর সে আকাশের দিকে তাকাতেই দেখা গেলো সূর্য্যের চারিপাশে অভাবনীয় সুন্দর আলোর বলয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ওই বলয়টা ১০ সেকেন্ড স্থায়ী থাকার পর তা ধীরে ধীরে মিলিয়েও গোলো। বিরল এই দৃশ্য অতি অল্পসময় দেখা দেয়ার কারণে সকলের নজরেও পড়েনি। আর যারা দেখেছেন তারা দারুণভাবে উচ্ছাসিত হলেন। মোবাইল ফোনে ছবিও তুললেন।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নাইদ শেখ তারমি জানান, হালকা মেঘে ঢাকা আকাশের দিকে তাকাতেই এমন দৃশ্য চোখে পড়লো। অনেকেই এটাকে বললেন রংধনু।
বনপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, মূলত সূর্য গ্রহণের সময় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে। এ সময় সূর্য্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদের অবন্থানের কারণে সাময়িকভাবে ঢাকা পড়ে যায় সূর্য্য।
আর তখন এমন আলোর বলয় তৈরী হয়। তবে এই বলয়টি সূর্য্যকে মেঘে ঢেকে ফেলায় রংধনুর মতোই রঙিন হয়ে দেখা দিয়েছে যা অতি সুন্দর নান্দনিক দৃশ্যে পরিণত হয়েছে।
এছাড়াও পাবনার আকাশে বৃহস্পতিবার দুপুরে সূর্য ঘিরে সৃষ্টি হয় বিশাল আকৃতির রংধনু বলয়। অসাধারণ সুন্দর এই বলয় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করে। তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য অবাক চোখে অবলোকন করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম পাবনার মানুষের নজরে আসে চোখ জোড়ানো এ দৃশ্য। আরও কয়েক জায়গায় এ দৃশ্য দেখা গেছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এই বলয় ২২ ডিগ্রি হ্যালো (halo) নামে পরিচিত। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞানীরা বলেন, বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে ছোট ছোট বরফকণা রয়েছে। সূর্যের আলো স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌঁছানোর পর বরফে পড়ে তা প্রতিসরণ হয়। হ্যালো ২২ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২২ ডিগ্রি হলেই এই বলয় সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়। বায়ুমণ্ডলে জমে থাকা বরফ কণা থেকে প্রতিসরণ হওয়ায় বৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকে। সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করে বেলা দুইটায় নেমে এল এক পশলা ভারী বৃষ্টি। সূত্র: প্রথম আলো, ভোরের কাগজ
আপনার মতামত লিখুন :