সাজিয়া আক্তার : টানা দুই বছরের মন্দা কাটিয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে প্রবাসীদের আয় প্রবাহ। ব্যাংকারদের দাবি ডলারের চরা দাম আর সংস্কার উদ্যোগের ফলে আগের চেয়ে বৈধভাবে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। যদিও এখনো হুন্ডির কারণে বিপুল পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসে না। আছে টাকা পাচার হওয়ার শঙ্কাও।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ১ হাজার ৫৩২ কোটি মার্কিন ডলার। পরের বছরেই তা কমে আসে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি মার্কিন ডলারে, কমেছে তার পরের বছরও। তবে কমেনি শেষ হওয়া অর্থ বছরে আগের বছরের তুলনায় রেমিটেন্স প্রবাহ, বেড়েছে ১৭ দশমিক তিন শতাংশ। প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৪৯৮ কোটি মার্কিন ডলার। জুনে ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ডলার দেশে এসেছে, যা গত বছরের জুনের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি।
ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সটা বেশি হওয়ার কারণে এখন বৃদ্ধিটা পাচ্ছে। যেটা ন্যাশনাল রিজার্ভে শো হচ্ছে। এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো বিগত দিনে একটু বেশি রেট দিয়েছে, কিন্তু এখন ইউনিফ্রম করে দিয়েছে। রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য আরো উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। আগে ৫০ টাকা করে নেওয়া হতো, এখন তা ২০ টাকা করা হয়েছে। ফ্রিটাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের শ্রমিকের দক্ষতা আগের চেয়ে বেড়েছে। তেমনি প্রবাসে যাওয়ার শ্রমিকের সংখ্যাও বাড়ছে। তবু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
ঢাকা স্কুল অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সিদ্দিক বলেছেন, আপাতত দৃষ্টিতে প্রতিযোগিতা থাকা সত্বেও সেটার প্রভাব আমাদের সার্ভিস চার্জের উপর সেই মাত্রায় পড়েনি। প্রথম আরো কম হওয়ার কথা ছিল, ডলারের সাথে রেট এটা নিশ্চই নির্ধারক, কিন্তু এটার সাথে সাথে কত সহজে আমি ওখানে পাচ্ছে এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ণ।
প্রবাসীদের উপার্জন বৈধ্যভাবে দেশে আনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি না হলে টাকা পাচার উদ্বেগ জনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র : ডিবিসি টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :