কেএম হোসাইন : সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন,বাংলাদেশে যারা বড় বড় অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কেনেন তারা বেশির ভাগই ধনবান। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ সরকারি বড় কর্মকর্তারা যারা ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত কালো টাকা দিয়ে অনেকে সঞ্চয়পত্র কিনে থাকে। তাই এরা কখনোই চাই না সঞ্চয়প্রত্রের সুদেরহার কমুক।
শবনম আযীমের সঞ্চালনায় একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান একাত্তর জার্নালে তিনি একথা বলেন।
অজয় দাশগুপ্ত বলেন,সঞ্চয়পত্র কেনার যে লিমিট আছে । তাতে কি কোন সমস্যা নাই বড় বড় অঙ্কের সঞ্চয়পত্র যারা কিনে থাকে। তারা নিজের নামে পরিবারের আর অন্য সদস্যদের নামে আলাদা আলাদাভাবে কিনে থাকে। এই কৌশলে তাদের জানা আছে। সঞ্চয়পত্র নামে মাত্র মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তের। মূলত এটা ধরবানদেরই। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ১০ লাখ লোক যে টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে থাকে, সেটা সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ৫০ হাজার তার চেয়ে অধিক কিনে। উচ্চপর্যায়ের ৫০হাজার লোক যে সঞ্চয়পত্র কিনেছে তাতে টাকার অঙ্ক বেশি। মূল লাভটা কিন্তু ওই ৫০ হাজার লোক ভোগ করে। তাতে সামনে দাঁড়ায় আছে ১০ লাখ লোক। তাদের সবাই দেখে। আর এবারের বাজেটে এখনো সঞ্চয়পত্রের সুদেরহ হার কি করা হবে নির্ধারণ হয়নি। তা পরে সম্বন্বয় করে সুদের হার ঠিক করা হবে। যাতে মধ্যবিত্তরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আসলে
সঞ্চয়পত্রে সুদেরহার কমলে মধ্যবিত্তরা যেটুকু ক্ষতিগ্রস্ত তা চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ওই সব ধনবানরা যারা বেশি পরিমান টাকা সঞ্চয়পত্র কিনে রেখেছে। কিন্তু তাদের টাকার পরিমানটা যেহেতু বেশি তারা আর কি ক্ষতিগ্রস্ত হবে?ক্ষতিগ্রস্ত হবে আসলে মধ্যবিত্তরা।
আপনার মতামত লিখুন :