শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০১৮, ০৫:২৪ সকাল
আপডেট : ০৮ জুন, ২০১৮, ০৫:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমুদ্রের নিচে নাইট্রোজেনের আধিক্য, গবেষণায় বাংলাদেশের বিজ্ঞানীর চার সদস্যের টিম

রাকিব খান : সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে সমুদ্রের নিচে নাইট্রোজেন সারের আধিক্য সেখানকার জীববৈচিত্রের উপর মারাত্মকভাবে হুমকি সৃষ্টি করছে। ষাটের দশকে সবুজ বিপ্লবের সময় বিশ্বজুড়ে নাইট্রোজেন সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছিলো। কিন্তু এর বেশি ব্যবহারে তা সমুদ্রে ও অন্যান্য পানিতে মিশে যেতে থাকে।

বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সমুদ্রের পানিতেও এরকম রেডজোন বা মৃতবলয় দিনদিন বেড়ে চলেছে। এ অবস্থা কিভাবে তৈরি হয়েছে আর এটি আমাদের পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা জানতে বিবিসি বাংলা কথা বলেছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সায়েদুর রহমান চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন, পুরো বঙ্গোপসাগরে এই ধরণের অক্সিজেন বিকৃতির এরিয়া তৈরি হয়নি। এটা মূলত সাগরের মাঝামাঝি একটা স্থানে অক্সিজেন বিকৃতি বা কম অক্সিজেনের একটি অঞ্চল তৈরি হয়েছে। ২০১৬-১৭ সালে এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট এসেছিলো। এটা শুধু বাংলাদেশে বলেই নয়, এটা পুরো মহাসাগরেই কিছু কিছু অঞ্চলে এই অক্সিজেন বিকৃতির স্থান তৈরি হয়েছে। বিষয়টা আংশিক অর্থে বেশ জটিল।

তিনি আরও বলেন, সমুদ্রের পানিতে যে অক্সিজেনটা রয়েছে সেটা আসে বায়ুমণ্ডল থেকে আসে। আর সেটা সমুদ্রের উপরের অংশের বায়ুমণ্ডলের সাথে অক্সিজেন মিশ্রণ হয়। যারফলে সমুদ্রের আনুমানিক ২শ’ মিটার পর্যন্ত যে স্তর রয়েছে সে স্তরটাতে অক্সিজেন থাকে সবচেয়ে বেশি। আবার এই স্তরের মধ্যে সূর্যের আলোর কারণে অর্গানিকের উৎপাদন বেশি হয়। এবং অর্গানিক মেটারিয়াল বেশি হবার কারণে যেসব প্রাণীরা মারা যায় ব্যাকটেরিয়া তাদেরকে ডি-কম্পোষ্ট করবার সময় এই অক্সিজেনটা ব্যবহার করে ফেলে। যারফলে সমুদ্রের উপরের অংশে অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। কোনো কোনো অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে বিশেষ করে নাইট্রোজেনের প্রভাবে সমুদ্রে যে দূষণ হচ্ছে যার জন্য অতিরিক্ত অর্গানিক মেটারিয়াল সমুদ্রের গভীরে পৌঁছে যাচ্ছে। আর এটাকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন অর্গানিক রেইন। আর অর্গানিক রেইনটা যেসব অঞ্চলে হচ্ছে সেটার গভীর সমুদ্রেও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এই অক্সিজেনগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে অক্সিজেন কমে যাবার মূল কারণ।

এটা আমাদের সামুদ্রিক এবং কৃষি পরিবেশের জন্য কি ধরণের ঝুঁকির কারণ হতে পারে? বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর কারণে সেখানকার দুই একটি প্রাণী ছাড়া সেখানে মাছ এবং অন্য কেউই আর বাঁচতে পারবে না। সেই অঞ্চলটি এক ধরণের মরুভূমির মতো হয়ে যাবে। এখানে মৎস সম্পদ একবারে শেষ হয়ে যাবে।

এই ঝুঁকি এড়াতে কি ধরণের ব্যবস্থা নিতে হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ঝুঁকি এড়াতে সব দেশকে গ্লোবাল হতে হবে। এখানে যে অঞ্চলটার কথা বলা হয়েছে সেটা বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকার বাইরে পড়েছে। কিন্তু বাইরে হলেও আমাদের দেশে প্রভাব পড়তে পারে। সে জন্য এ বছর আগস্ট মাসে একটা জাহাজে করে এই গবেষনাটি আমরা করবো। এটা সরকারিভাবে মৎসবিভাগের আয়োজনে এই জাহাজটিকে আনা হচ্ছে। এখানে বাংলাদেশের কয়েকজন বিজ্ঞানীও থাকবে। আমাদের চার সদস্যের একটি টিম থাকবে এই জাহাজে। সবাই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করবে। তারমধ্যে একজনের দায়িত্ব থাকবে এই বিষয়ে গবেষণা করা। এটি জাতিসংঘের প্রেট্টোনাইজেশনে এই জাহাজটি বাংলাদেশে আসছে। ইতোমধ্যে আমাদের সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। শ্রিলঙ্কা থেকে জাহাজটি ছেড়ে চট্টগ্রামে আসবে।-বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়