কেএম হোসাইন : ব্যাটসম্যানদের দাপটে আইপিএলের ১১তম আসরের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলো চেন্নাই সুপার কিংস। শেন ওয়াটসন ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ১৩ রানে হারিয়েছে চেন্নাই।
রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সাকিব আল হাসানদের পেছনে ঠেলে দিয়ে আবার এক নম্বরে চেন্নাই। ৮ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট চেন্নাইয়ের, সমান ম্যাচে হায়দরাবাদের পয়েন্টও একই। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে আছে ধোনিরা।
ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি করেছেন ওয়াটসন ও ধোনি। ওপেনিংয়ে ওয়াটসন ৪০ বলে করেন ৭৮ রান, আর ধোনি মাত্র ২২ বলে ৫১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকলে নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাই ৪ উইকেট হারিয়ে দাঁড় করায় ২১১ রানের বিশাল সংগ্রহ। ঋশব পান্ট ও বিজয় শঙ্করের ব্যাটে আগুন ঝরলেও হার আর ঠেকাতে পারেনি দিল্লি। ২০ ওভার শেষ তারা করতে পারে ১৯৮ রান।
ফাফ দু প্লেসিকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১০২ রান যোগ করেন ওয়াটসন। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান অবশ্য দেখেশুনে খেলেছেন, ৩৩ বলে করে যান ৩৩ রান। অন্যপ্রান্তে ওয়াটসন আক্রমণাত্মক ছিলেন বলেই হয়তো ‘নীরব’ ছিলেন দু প্লেসিস। ব্যাটে রীতিমত আগুন ঝরিয়েছেন ওয়াটসন। ৪০ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় খেলে যান ৭৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
তার গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে দিল্লি বোলারদের ওপর টনের্ডো বইয়ে দেন ধোনি ও আম্বাতি রাইডু। রান আউট হয়ে রাইডু ২৪ বলে ফেরেন ৪১ রান করে। ধোনিকে অবশ্য আউট করতে পারেনি দিল্লি। চেন্নাই অধিনায়ক ব্যাটে ঝড় তুলে ২২ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৫১ রানের ইনিংস।
২১২ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিল্লি ৭৪ রানে হারায় টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানকে। পৃথিবী শ (৯), কলিন মুনরো (২৬), শ্রেয়াস আইয়ার (১৩) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৬) চাপটা নিতে পারেননি। ম্যাচ থেকে তখন দিল্লি ছিটকে গেছে মনে হলেও পান্ট ও শঙ্কর জমিয়ে তুলেছিলেন খেলা।
পান্ট ৪৫ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৭৯ রানের ইনিংস। আর শঙ্কর ৩১ বলে অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। তবে তাদের চমৎকার দুটি ইনিংসও ঠেকাতে পারেনি চেন্নাইয়ের জয়। ক্রিকইনফো