তিনি বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যগতভাবে অসম্প্রদায়িক ও সর্বজনগ্রহণ যোগ্য সংস্কৃতি। তাই সেখানে পহেলা বৈশাখ থাকবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে পহেলা বৈশাখকে নানা বিধি-নিষেধের বেড়াজালে আবদ্ধ করা হচ্ছে, এটি অনর্থক বলে আমি মনে করি। কারণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সে কাজে তারা ব্যর্থ হয়ে ব্যর্থতার দায় চাপাচ্ছে জনগণের উপর। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙালি চৈতন্যের সাথে সম্পূর্ণ সম্পৃক্ত, এর সাথে ধর্মের কোন ব্যাপার নেই। মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে ইউনেস্কো থেকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সুতরাং পহেলা বৈশাখ যত স্মরণ করে উদযাপিত হবে ততই বাঙালির উদঘাটন হবে।
আরো পড়ুন : বীর-খালেদের বীরত্ব প্রচারে কুন্ঠা প্রসঙ্গে
তিনি আরো বলেন, আইয়ুব খানের সৈ¦র শাসনের আমলে প্রথম ১৯৬৪ সালে ছায়ানট ঢাকা শহরে পহেলা বৈশাখ আয়োজন করে বলদা গার্ডেনে। পরে ১৯৬৭ সালে ছায়ানটের ব্যবস্থাপনায় স্থানান্তরিত করা হয় রমনার বটমূলে। বাঙালি চিন্তা চেতনায়, বাঙালি সত্ত্বায় উদযাপন শুধু নয়, নতুন করে বাঙালি সত্ত্বায় নবায়ন হয় পহেলা বৈশাখের মধ্য দিয়ে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে এরশাদের সৈ¦র শাসনের আমলে মঙ্গল শোভা যাত্রায় যে ধারনাটা এসেছিল শিল্পি এস এম সুলতানের কাছ থেকে তা হলো- অশুভর বিরুদ্ধে শুভর উদযাপন আর অমঙ্গলের বিরুদ্ধে মঙ্গলের উদযাপন।