এল আর বাদল : মিরপুরের সিটি ক্লাব ১৯৮৫ সালে নির্মাণ হয়েছিলো ফুটবলার সৃষ্টির স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু কর্মকর্তাদের স্বপ্ন আর সফল হল না। ক্রিকেটের জোয়ারে তাদের স্বপ্নেরও পরিবর্তন হলো। ক্লাবটি ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছে।
যাদের অকৃত্রিম প্রচেষ্টায় মিরপুর ১২ নং সেকশনে সিটি ক্লাব নামে ক্রীড়া সংগঠনের আবির্ভাব, তাদের অনেকেই বেঁচে নেই। অথচ তাদের গড়া এই ক্লাবটি অনেক জশ আর সুখ্যাতি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। সমাজ সেবক দানবীর মরহুম দলিল উদ্দিন মোল্লা, সাবেক সাংসদ মরহুম হারুন অর রশিদ মোল্লা, মরহুম শামসুল হুদা, মাহুমদ আহমেদ ও হোসেন মোল্লার অবদানে আজকের এই সিটি ক্লাব।
বর্তমানে ক্লাবের দেখভাল করছেন সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ব্যবসায়ী ও ক্লাব সভাপতি জুয়েল মোল্লা, সাবেক ফুটবলার ও সহ সভাপতি মো. মহসিন, সাধারণ সম্পাদক হোসেন মোল্লা। জুনিয়রদের মধ্যে নাসিম মোল্লা, সাজ্জাদ হোসেন, কাশেম, নজরুল, ইলিয়াস, কাদের ও জনিসহ অনেকে।
মিরপুরের সমাজ সেবকরা ১৯৮৪ সালে ১ লাখ টাকায় দ্বিতীয় বিভাগের দল শাহজাহানপুর ফুটবল ক্লাব কিনে নেয়। তৎকালীন ঢাকা মেট্রোপলিশ ফুটবল এসোসিয়েশন (ডামফা) সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন খোকার পরামর্শে ১৯৮৫ সালে সিটি ক্লাব নামকরণ করা হয়। পরের বছর ক্লাবটি দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল খেলে। ওই সময়ে দলের অধিনায়ক ছিলেন হোসেন মোল্লা। দীর্ঘ ৯ বছর দ্বিতীয় বিভাগ খেলে সিটি ক্লাব প্রথম বিভাগে উঠে। দুর্ভাগ্য, দলটি ওই বছরই আবার দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যায়। বর্তমানে ক্লাবটি দ্বিতীয় বিভাগে খেলছে।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্ষেপের সুরে বললেন, দেশে যখন ক্রিকেটে জোয়ার বইতে শুরু করে, তখনই যেনো দেশ থেকে ফুটবল ভেসে যায়। ফুটবলের শাসক সংস্থা বাফুফেও খেই হারিয়ে ফেলে জাতীয় পর্যায়ে ফুটবলের মান বাড়াতে। তিনি বলেন, এ অবস্থায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলো ক্রিকেটে নাম লেখাতে। সেই লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে সিটি ক্লাব কোয়ালিফাইং ম্যাচ খেলে তৃতীয় বিভাগে উঠে। ৯১ সালে দ্বিতীয় বিভাগ আর ৯২ সালে প্রথম বিভাগে উঠে টানা ১০ বছর খেলার পর ২০০২ সালে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে উন্নীত হয়।
চার বছর প্রিমিয়ারে খেলে দু’বার যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিটি ক্লাব। সিটি ক্লাবের ওই সময়ের ক্রিকেটাররা হলেন, ফারুক আহমেদ, খালেদ মাহমুদ সুজন, মাশরাফি বিন মোর্তুজা, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, তারেক আজিজ খান, শাহরিয়ার নাফিজ, তুষার ইমরানসহ অনেকে। ২০০৪ সালে সিটি ক্লাব ক্রিকেট দলের কোচ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ট্রেভর চ্যাপেল। বর্তমানে ক্লাবটি ৪৫০ জনকে ক্রিকেটের উপর কোচিং দিচ্ছে। জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় তারেক আজিজের তত্বাবধানে কোচিং ক্যাম্প পরিচালিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :